ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেস-চ্যাপ্টার-৩, এপিসোড-১

আমাদের চারপাশে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হই। আমাদের মাথায় হয়তো এই সব সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক আইডিয়াও আছে। কিন্তু সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে সেটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে বিজনেস করতে পারলে কেমন হতো? নিজের প্যাশনকে বা ভালো কাজ করার ইচ্ছাকে পেশা হিসেবে নিয়ে সমাজ ও চারপাশের পরিবর্তন করতে চায় যেসব তরুণ, তাদের আরও একটু উৎসাহ দিতে এবং সাহায্য করতে ক্লেমন এর এক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ স্কুল অব ফ্রেশনেস।

ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেস–এর চ্যাপটার-৩–এর প্রথম এপিসোড এ কথা বলেছেন গার্বেজম্যান এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ফাহিম উদ্দিন শুভ। এই চ্যাপ্টারে তিনি তরুণদের পরামর্শ দেবেন, নিজের অভিজ্ঞতা জানাবেন যে কীভাবে একটি সামাজিক সমস্যার সমাধানকেই নিজের পেশা হিসেবে নিয়ে ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে।

স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, ফাহিম কীভাবে গার্বেজম্যান এর উদ্যোগ নিলেন? প্রথম এপিসোডে তিনি জানিয়েছেন তাঁর শুরুর গল্প। ফাহিমের ভাষায়, শুরুতেই মাথায় এত আইডিয়া ছিল না। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমি ধূমপান করতাম, তখন সিগারেটের বাট ফেলার জন্য নিজেই একটা বক্স পকেটে রাখতাম যেন বাইরে যেখানে-সেখানে সেটা ফেলে পরিবেশ নোংরা করতে না হয়। এরপর চাকরিতে ঢুকেও দেখলাম মানুষ বাড়ি বা বিল্ডিং বানানোর সময়েও আবর্জনা বা ওয়েইস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো চিন্তা করে না। এতে পরিবেশ নোংরা হয়। তখন আমার মনে হয় যে নিজে থেকেই এই বিষয়টা নিয়ে রিফ্রেশিং কিছু করা উচিত যেন আমাদের চারপাশে ফ্রেশনেস ছড়ায়।

গার্বেজম্যান এর কাজ কী? খুব সহজ করে ফাহিম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান বা সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিনের ময়লা সংগ্রহ করি। আবর্জনা দুই ধরনের হতে পারে—একধরনের ময়লা যা পচনশীল, আর একধরনের আবর্জনা যা রিসাইকেল বা রিইউজ করা যায়। আমাদের গ্রাহকদের আমরা সবুজ ও হলুদ দুই ধরনের বালতিতে আলাদাভাবে এই দুই ধরনের আবর্জনা ফেলতে বলি। পচনশীল ময়লা সবুজ বালতিতে সংগ্রহ করি এবং রিইউজেবল আবর্জনা যেমন প্লাস্টিক, গ্লাস এসব হলুদ বালতিতে সংগ্রহ করি। এরপর সবুজ বালতির ময়লা আমরা জৈব সার হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রসেস করি। আর বাকি আবর্জনা আমরা রিসাইকেলের জন্য প্রসেস করি। এভাবে আমরা পরিবেশ এর ফ্রেশনেস বজায় রাখার জন্য একটা বড় অবদান রাখতে পারি।’

তাহলে এই সামাজিক কাজ থেকে রেভিনিউ আসে কীভাবে? গ্রাহকেরা নিশ্চয়ই ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা ফি প্রদান করে থাকেন।

এ রকম সামাজিক কাজের মাধ্যমে রেভিনিউ জেনারেশনের জন্য কী কী করতে হয়? এসব প্রশ্নের উত্তর ফাহিম উদ্দিন শুভ জানাবেন সামনের এপিসোডগুলোতে। তাই আরও ফ্রেশ আইডিয়া পেতে চোখ রাখতে হবে ক্লেমন এবং প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে।

*অনুলিখন: ভক্ত সাগর উর্মি নিতু