গাড়ি উড়ল আকাশে

এনইসির উড়ুক্কু গাড়ি
এনইসির উড়ুক্কু গাড়ি

যানজটে আটকে উড়ুক্কু গাড়ির কথা ভাবেননি—এমন মানুষের সংখ্যা কমই। উড়ুক্কু গাড়ি কিন্তু আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির কোনো বিষয় নয়। গত সোমবার জাপানে জনসমক্ষেই উড়ুক্কু গাড়ির পরীক্ষা হয়ে গেল। মাটি থেকে ১০ ফুট উঁচুতে উঠে এক মিনিটের বেশি সময় একই জায়গায় অবস্থান করতে পেরেছে প্রোটোটাইপ ফ্লাইং কার হোভারবোর্ডটি। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উড়ুক্কু গাড়িটি তৈরি করেছে টোকিওভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এনইসি। বড় ড্রাগন আকৃতির ওই উড়ুক্কু গাড়ির ওপরে চারটি গোলাকার পাখা রয়েছে। ব্যাটারিচালিত এ গাড়ি মূলত স্বয়ংক্রিয় পণ্য পরিবহনের জন্য নকশা করা হয়েছে।

টোকিওর আবিকোতে এনসিইসির কারখানা এলাকায় একটি গণ্ডির মধ্যে এর পরীক্ষা চালানো হয়।

এনইসি করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নোরিহিকো ইসগুরো বলেন, ‘এনইসি মনে করছেন, উড়ুক্কু গাড়িতে করে ভ্রমণের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। যখন ওই সময় আসবে, তখনকার কথা ভেবে আমরা প্রযুক্তি ও সেবা তৈরি করছি।’

বাণিজ্যিকভাবে উড়ুক্কু গাড়ি তৈরিতে সফল হতে হলে আরও বেশ কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাটারির আয়ু, নিরাপত্তা ও উড়ুক্কু গাড়ি চালানোর নিয়মকানুন। তবে প্রচলিত হেলিকপ্টারের তুলনায় উড়ুক্কু গাড়ি আরও সাশ্রয়ী, কম শব্দ সৃষ্টিকারী এবং ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) সুবিধা থাকবে। এতে যানজটযুক্ত এলাকায় পরিবহন, মালামাল পরিবহন ও বিনোদনমূলক ভ্রমণের কাজে লাগবে।

জাপান সরকারের পক্ষ থেকে উড়ুক্কু গাড়ির প্রকল্পটিকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। ফুকুশিমা শহরে উড়ুক্কু গাড়ি চালানোর জন্য পরীক্ষামূলক একটি আকাশপথ ঠিক করে দিয়েছে দেশটির সরকার।

দেশটির অবকাঠামোগত পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৩ সাল নাগাদ পণ্য সরবরাহ, ২০৩০ সাল নাগাদ মানুষের যাতায়াতে ব্যবহার করার কথা রয়েছে।

উড়ুক্কু গাড়ি তৈরিতে অবশ্য এনইসির পাশাপাশি কাজ করছে উবার, এয়ারবাস, ভলোকপ্টার ও বোয়িংয়ের মতো প্রতিষ্ঠান।