
প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের উন্নয়নের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে জীবনমান। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লেখাপড়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন বিষয়। তেমনি একটি বিষয় মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রকৌশলের এ বিষয়টিতে সমন্বয় ঘটানো হয়েছে যন্ত্রকৌশল, তড়িৎকৌশল, ইলেকট্রনিকস—এই তিন বিষয়ের। টেলিকমিউনিকেশন, অপটিক্যাল ফাইভার কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন, পাওয়ার প্লান্ট, অটোমেশনসহ যন্ত্রকৌশল ও তড়িৎকৌশলের বিভিন্ন বিষয়ে পাঠের সমন্বয় হলো মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলাদেশে এ বিষয়ের ওপর পড়ার সুযোগ রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে। প্রযুক্তিনির্ভর এই সময়ে বেশির ভাগ যন্ত্রে সমন্বয় ঘটানো হয়েছে যন্ত্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকসের। ফলে এসব যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ কিংবা চালনা হয়ে থাকে দুটি বিষয়ের সমন্বয়ে। আর মেকাট্রনিকসের প্রধান পড়াশোনার বিষয়ই হলো যন্ত্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকসের সমন্বয়—বললেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাকরান হায়াত। এ ছাড়া আরেকটি বিশেষ ক্ষেত্র রয়েছে, যা মেকাট্রনিকসের পাঠের অংশ। তা হলো বায়ো ইলেকট্রো-মেডিকেল, যেখানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহূত বিভিন্ন যন্ত্রের নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়।
চার বছর মেয়াদি এই কোর্স সম্পন্ন করতে হলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধমিক সম্পন্ন করতে হবে। জিপিএ থাকতে হবে ন্যূনতম ২.৫। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ থাকছে বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্টের মেইনটেনেন্স, কন্ট্রোলিং ও সার্ভিসিং সেকশনে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যন্ত্রকৌশল ও তড়িৎকৌশল সেকশন, টেলিকমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ও বায়ো ইলেকট্রো-মেডিকেল সেকশনে কাজের সুযোগ। আবার স্নাতক সম্পন্ন করার পর উচ্চশিক্ষার সুযোগও থাকছে দেশের বাইরে।