নিরাপত্তায় নিজে যা করবেন: শেষপর্ব

প্রাইভেট ব্রাউজিং: সাইবার ক্যাফে বা গণ-ওয়াইফাই এলাকা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ব্রাউজারের প্রাইভেট মোড চালু (অন) করে ওয়েবসাইট দেখার সময় বিভিন্ন তথ্য (ক্যাশ, কুকি, পাসওয়ার্ড) নিরাপদ রাখা যায়। ফায়ারফক্স হলে Firefox>New Private Window -এ ক্লিক করে; গুগল ক্রোমের ক্ষেত্রে Customize and control Google Chrome>New incognito window-এ ক্লিক করে এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে Safety>InPrivate Browsing-এ ক্লিক করে প্রাইভেট মোড চালু করতে হবে।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড: ই-মেইল অ্যাকাউন্ট, বিভিন্ন মুঠোফোন ও ওয়েব-সেবায় একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ঠিক নয়। আবার সহজ, সংক্ষিপ্ত বা পুরাতন কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট হাতের বড় হাতের অক্ষর (স্মল ও ক্যাপিটাল লেটার), সঙ্গে সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন-সংবলিত একটু লম্বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। অনেক বেশি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা যেতে পারে। যেকোনো ব্রাউজারে ব্যবহার উপযোগী তেমনি একটি নিরাপদ এবং বিনা মূল্যের প্রোগ্রাম হলো লাস্টপাস। এটি ডাউনলোড করতে হবে https://lastpass.com ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। ইনস্টল করার পর ই-মেইল ঠিকানা এবং প্রধান (মাস্টার) পাসওয়ার্ড দিয়ে লাস্টপাসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর যেকোনো ওয়েবসাইটের লগইন তথ্য সেভ করলে পরবর্তী সময়ে প্রোগ্রামটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেই পূরণ করে দেবে।
দুই ধাপের নিরাপত্তা: গুগল, টুইটার, ফেসবুক কিংবা ড্রপবক্সসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এই সুবিধা আছে। দুই ধাপের ব্যাপারটি হলো, কোনো ওয়েব কিংবা ক্লাউড-সেবায় পাসওয়ার্ড লেখার পাশাপাশি নিয়মিত পরিবর্তন ঘটে এমন কোনো নিশ্চিতকরণ নম্বরও বসাতে হয়। যখনই কোনো ওয়েব-সেবায় এই ধরনের সুবিধা থাকবে, তখনই সেটি চালু করতে হবে। যেমন, ফেসবুকে লগইন অ্যাপ্রুভাল কোড চালু থাকলে, পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর মুঠোফোনে একটি নিশ্চিতকরণ সংকেত আসবে, সেটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসানোর পরই কেবল ফেসবুকে প্রবেশ করা যাবে।
সংযুক্ত ফাইলে ক্লিক না করা: ই-মেইল অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার সহজেই কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে যেতে পারে। তাই সন্দেহজনক কোনো ওয়েব ঠিকানা, ই-মেইলে পাঠানো অপরিচিত কারও সংযুক্ত (অ্যাটাচমেন্ট) ফাইলে হুট করে ক্লিক করবেন না। এ ছাড়া নামানো কোনো ফাইল অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করে তবেই ব্যবহার করুন।
নিরাপত্তা সফটওয়্যার: কম্পিউটারের নিরাপত্তায় একটি ইন্টারনেট নিরাপত্তা বা অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। প্রোগ্রামটি শুধু ইনস্টল করলেই হবে না বরং এর কার্যকারিতা পেতে হলে সর্বশেষ সংস্করণ অবশ্যই ইন্টারনেট থেকে হালনাগাদ করে নিতে হবে। উইন্ডোজ ভিসতা বা ৭ অপারেটিং সংস্করণের আসল লাইসেন্স থাকলে মাইক্রোসফট সিকিউরিটি অ্যাসেনসিয়ালস প্রোগ্রামটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। —মঈন চৌধুরী