প্রতিস্থাপিত গর্ভাশয়ে প্রথম শিশু

গর্ভাশয় প্রতিস্থাপনের পর সুইডেনের ৩৬ বছর বয়সী এক নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। 
আজ শনিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সাময়িকীটির বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, বন্ধ্যা নারীদের মা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে এ ঘটনাকে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত মাসে প্রায় এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজন নিয়ে ওই ছেলেশিশুটি জন্ম নেয়। নবজাতক ও মা উভয়ে সুস্থ।
শিশুটির বাবা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘কয়েক বছর কঠিন সময় পার করার পর এখন আমাদের অসাধারণ একটি সন্তান হয়েছে। অন্য যেকোনো শিশুদের সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু তার একটি চমৎকার গল্প আছে।’
ওই দম্পতির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, জরায়ু ছাড়াই ওই সুইডিশ নারী জন্ম নেন। গত বছর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৬১ বছর বয়সী পারিবারিক বন্ধু এক নারীর কাছ থেকে জরায়ু নিয়ে তাঁর ভেতর প্রতিস্থাপন করা হয়।
গর্ভধারণের ৩১ সপ্তাহে গত মাসে সিজারের মাধ্যমে ওই সুইডিশ নারীসন্তান জন্ম দেন।
এই খবর শোনার পর জরায়ু প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেওয়া বিশেষজ্ঞ মাটস ব্রায়েনস্ট্রোয়েম বলেন, ‘আমি ও আমাদের পুরো দলের জন্য এটা অবিশ্বাস্য আনন্দের খবর। সত্যিই আমরা ভাবতেই পারিনি যে এমন মুহূর্তে উপনীত হব। প্রাণীর ওপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক গবেষণার পর এই সাফল্য এসেছে। এর মধ্য দিয়ে জরায়ু-সংক্রান্ত বন্ধ্যাত্বে ভোগা নারীদের চিকিৎসার সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে।