ফাইভ–জি যুগে বাংলাদেশ

ফাইভ–জি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবার উদ্বোধন করলেন।
রোববার রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ফাইভ–জি সেবার উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, তত দিন বাংলাদেশ সব খাতে এগিয়ে যাবে...আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাব।’

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে এই পরিষেবা চালু করেছে। স্থানগুলো হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ এবং ঢাকার শেরেবাংলা নগর।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এই সেবা চালু করেছে।

আগামী বছরের মার্চে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ নিলামের পরে বেসরকারি অপারেটররা আগামী বছর ফাইভ–জি চালু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

টেলিকমিউনিকেশনে ফাইভ–জি হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কগুলোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির মান, যেটি সেলুলার ফোন কোম্পানিগুলো ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী স্থাপন করা শুরু হয়েছিল এবং ফোর–জি নেটওয়ার্কগুলোর পরিকল্পিত উত্তরসূরি, যা বেশির ভাগ বর্তমান মুঠোফোনগুলোতে সংযোগ প্রদান করে। জিএসএম অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের ১ দশমিক ৭ বিলিয়নের বেশি গ্রাহক থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রাজধানীর একটি হোটেল থেকে ‘নিউ এরা উইথ ফাইভ–জি’ শিরোনামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং ঝেংজুন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের আঞ্চলিক প্রধান সাইমন লিন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারও এতে বক্তব্য দেন।