বিজ্ঞান  সৃজনশীল প্রশ্নে ভালো করতে হলে

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার জন্য আবশ্যিক বিষয় বিজ্ঞান। আধুনিক যুগকে বলা হয় বিজ্ঞানের যুগ। তাই বিজ্ঞানকে জানা, বোঝা সময়েরই চাহিদা। আজ আমি বিজ্ঞান বিষয়টি কীভাবে সহজে অনুধাবন করা যায় সে সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।

(১) প্রতিটি পাঠ্যাংশ বুঝে বুঝে পড়তে হবে। শুধু পড়ার জন্য পড়া নয়, বিশ্লেষণ করে করে পাঠের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ আত্মস্থ করে নিতে হবে।
(২) বাক্যের দুর্বোধ্য বা অবোধ্য কোনো শব্দ থাকলে তার অর্থ জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে বইয়ের খালি জায়গায় এরূপ শব্দের অর্থ বা ব্যাখ্যা লিখে রাখা যেতে পারে।
(৩) ‘কিছু বুঝি না, কিচ্ছু জানি না’-এরূপ চিন্তা দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ভাবতে হবে-আমি বুঝি বা বুঝছি বা আমাকে বুঝতেই হবে। মনে রাখতে হবে কোনো কিছু সহজ মনে করলে সহজ, কঠিন মনে করলে কঠিন।
(৪) কিছু অধ্যায়ে গাণিতিক সমস্যা বিদ্যমান। যেমন-প্রথম অধ্যায়ে বি এম আই নির্ণয়, পঞ্চম অধ্যায়ে লেন্সের ক্ষমতা নির্ণয়, দশম অধ্যায়ে বল নির্ণয়, দ্বাদশ অধ্যায়ে বৈদ্যুতিক ব্যয়িত শক্তি নির্ণয় ইত্যাদি গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধান নির্ণয়ের কৌশল আয়ত্ত করতে হবে। সূত্রগুলো ভালো করে মনে রাখতে হবে।
(৫) যে সব অধ্যায়ে চিত্র আছে সেগুলো অন্তত তিন-চার বার আঁঁকার অভ্যাস করতে হবে। চিত্র আঁঁকার সময় সঠিক চিহ্নিতকরণ জরুরি।
(৬) কিছু অধ্যায়ে রাসায়নিক সংকেত ও বিক্রিয়ার ব্যবহার বিদ্যমান। সেগুলো কখনো মুখস্থ করা যাবে না। তবে প্রতীক, সংকেতের মাধ্যমে বিক্রিয়া লেখার নিয়ম জেনে নিতে হবে।
(৭) পাঠের বিষয়বস্তু থেকে নিজে নিজে সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর তৈরি করলে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়।
(৮) প্রতিটি অধ্যায়ের ‘কাকে বলে’ বা ‘সংজ্ঞা’ বা ‘বলতে কী বোঝায়’ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর সঠিক হতে হবে। এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর মনগড়া তৈরি করা যায় না।
(৯) প্রতিদিন বিজ্ঞানের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখা চাই। তোমরা নিশ্চয়ই জানো-কোনো কিছু বার বার পড়লে তা ভেতরে গাঁথা হয়ে থাকে বেশি।
# অন্যান্য বিষয়ের মতো বিজ্ঞানকেও করতে হবে প্রিয় বিষয়। তখন বিজ্ঞানও তোমাকে প্রিয় করে তুলবে। তোমার দরোজায় উঁকি দেবে সোনালি সাফল্য।