মানুষের চেয়ে রোবট বেশি!

ইন্টারনেট বট
ইন্টারনেট বট

আপনি যখন এই প্রতিবেদনটি পড়ছেন, তখন শুধু আপনি একা নন আপনার সঙ্গে অনেক ‘বট’ও এই প্রতিবেদনটি পড়ছে। আর এই বটের সংখ্যা মানুষের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। বট কী? ইন্টারনেট বট হচ্ছে ওয়েব রোবট, ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ রোবট বা শুধু বট যা এক ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। হাফিংটন পোস্টের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট নিরাপত্তা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইনক্যাপসুলা ওয়েব ট্রাফিক নিয়ে গবেষণা করেছে। ইনক্যাপসুলার দাবি, ইন্টারনেটে সব ওয়েবসাইটের ট্রাফিকের মধ্যে মানুষের সংখ্যা মাত্র ৩৮.৫ শতাংশ আর অন্যদিকে বটের সংখ্যা ৬১.৫ শতাংশ।
ইনক্যাপসুলার গবেষকেদের দাবি, ওয়েব বটের মধ্যে প্রায় অর্ধেক খারাপ বট অর্থাত্ এই খারাপ বট ব্যবহার করে সাইটের ক্ষতি করে সাইবার দুর্বৃত্তরা। মন্তব্য, লিংক স্প্যাম ছড়ানো থেকে শুরু করে ম্যালওয়্যার ছড়াতেও এই বট ব্যবহার করা হয়।
এর আগে ওয়েব ট্রাফিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্পাইডারের বরাতে উইয়ার্ড অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, বেশ কিছু ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে সাইটে বট ব্যবহার করে  ট্রাফিক বাড়ায় এবং বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে। এমন একটি বটনেট হচ্ছে ‘টিডিএসএস’। এ বটনেটটি ভুয়া ট্রাফিক বাড়ায় এবং কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ছড়াতে ব্যবহূত হয়।

গবেষকেদের মতে, এই বটটির নিজস্ব অ্যান্টি-ভাইরাস পদ্ধতি রয়েছে যা প্রতিদ্বন্দ্বী বট ধ্বংস করে ফেলে। তিন মাসে ২০ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে গবেষণা করে স্পাইডারের গবেষকেরা। এতে ২৪৯টি দেশ থেকে ১৪৫ কোটি বট শনাক্ত করেন তাঁরা।