যুক্তরাজ্যে চিপ গবেষণাকেন্দ্র তৈরির অনুমোদন পাচ্ছে হুয়াওয়ে

হুয়াওয়ের লোগো
হুয়াওয়ের লোগো

চীনা টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড যুক্তরাজ্যে গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনার জন্য অনুমোদন পাচ্ছে। ৪০ কোটি পাউন্ড খরচে যুক্তরাজ্যের সাস্টন এলাকায় ওই গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে সানডে টাইমস।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেমব্রিজ থেকে সাত মাইল দূরে যে গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, সেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় চিপসেটের উন্নয়ন ও গবেষণা করা হবে।

সাউথ কেমব্রিজশায়ার ডিসট্রিক্ট কাউন্সিলকে হুয়াওয়ের আবেদন পুরোপুরি গ্রহণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দেশটির টেলিকম অপারেটরদের হুয়াওয়ের সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করার জন্য আদেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনা প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ ক্ষমতা ব্যাহত হলে তাতে যেন অপারেটরদের সমস্যা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

গত জানুয়ারি মাসে ব্রিটেন হুয়াওয়েকে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনে সীমিত ভূমিকা রাখার কথা বলেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ওয়াশিংটন এবং তার দলের কয়েকজন সদস্যের চাপের মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক–সরঞ্জাম ঝুঁকিপূর্ণ। হুয়াওয়ে বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের (এনসিএসসি) কর্মকর্তারা এখন মে মাসে ঘোষিত মার্কিন পদক্ষেপের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ৫জি সরঞ্জাম এবং ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত মাইক্রোচিপ পাওয়া হুয়াওয়ের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হুয়াওয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর জাং বলেছেন, ‘আমাদের গ্রাহকেরা আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করি, যা আমাদের ব্যবসায়ের ক্ষতি করার জন্য নকশা করা হয়েছে এবং এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।’

হুয়াওয়েকে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার কোনো পদক্ষেপ নিলে লন্ডনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক নষ্ট হবে। সম্প্রতি হংকংয়ের পরিস্থিতি ও কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে বেইজিংয়ে সঙ্গে লন্ডনের কিছুটা দূরত্ব বেড়েছে।