স্ত্রী সুখী হলে স্বামীও সুখী

বিয়েটা মনের মতো মানুষের সঙ্গে হয়নি। তার পরও পুরুষের জীবনটা সুখের হতে পারে—যদি তাঁর স্ত্রী দাম্পত্যে নিজেকে সুখী মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক এমনটিই দাবি করছেন। এই গবেষণায় বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক মূল্যায়ন এবং তুলনামূলক বেশি বয়সী দম্পতিদের মানসিক সুখ বা ভালো থাকার ব্যাপারটি গুরুত্ব পেয়েছে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল রিসার্চের অধ্যাপক ভিকি ফ্রিডম্যান বলেন, বেশি বয়সী স্বামী-স্ত্রীরা নিজেদের বিয়ে ও জীবন নিয়ে অন্যদের তুলনায় বেশি পরিতৃপ্ত। কিন্তু বিয়ে নিয়ে একজন অসুখী পুরুষের সার্বিক সুখের উপলব্ধি নির্ভর করে তাঁর স্ত্রী কীভাবে সেই দাম্পত্যকে মূল্যায়ন করেন, তার ওপর। যদি সেই নারী তাঁদের বৈবাহিক জীবনকে সুখের বলে স্বীকৃতি দেন, তাহলে পুরুষটির জীবনে সন্তুষ্টি বজায় থাকে। এমনকি যদি তিনি নিজেদের বিয়ে নিয়ে প্রথম দিকে কিছুটা অসন্তুষ্টির মধ্যেও থাকেন, সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব ম্যারেজ অ্যান্ড ফ্যামিলি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এটি রচনায় ফ্রিডম্যানের সহযোগী ছিলেন রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ডেবোরা কার। তিনি বলেন, জীবনের শেষ পর্যায়ে শারীরিক সুস্থতার জন্য বৈবাহিক জীবনের সুখের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ওই সুখের ভিত্তিতেই দম্পতিরা বার্ধক্যকালে পরস্পরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। 

ফ্রিডম্যান ও ডেবোরা কার যুক্তরাষ্ট্রের ষাটোর্ধ্ব ৩৯৪ জোড়া দম্পতির কাছ থেকে ২০০৯ সালে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন। গবেষকেরা দেখতে পান, লিঙ্গভেদে জীবন সন্তুষ্টি এবং ক্ষণিক সুখের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। নিজেদের সাধারণ সুখের মাত্রা নির্ধারণের কথা বলা হলে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গড়ে প্রায় একই রকমের মতামত দেন। তবে স্বামীরা নিজেদের দাম্পত্য জীবনকে ইতিবাচক বিবেচনা করার ক্ষেত্রে স্ত্রীদের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।

ডেবোরা কার বলেন, বিয়ে নিয়ে স্ত্রীদের মূল্যায়নটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

সূত্র: পিটিআই।