স্মার্টগ্লাস তৈরি করছে অ্যাপল

ছবি: অ্যাপলের স্মার্টগ্লাস
ছবি: অ্যাপলের স্মার্টগ্লাস

গুগল গ্লাসের মতো একধরনের নতুন স্মার্টগ্লাস বা স্মার্টচশমা তৈরির পথে হাঁটছে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। এই স্মার্টগ্লাসে এক জোড়া সাধারণ কাচের পাশাপাশি একটি অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ডিসপ্লে থাকবে। সহজ ভাষায় বাস্তব বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে ভার্চ্যুয়াল অভিজ্ঞতা তৈরির প্রযুক্তিকে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি বা এআর প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে।

সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল এখনো স্মার্টগ্লাসের বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। তাই কবে নাগাদ অ্যাপলের স্মার্টগ্লাস বাজারে আসবে, তার নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা কঠিন। তবে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে এ স্মার্টগ্লাস বাজারে আসতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাপল অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গোপনে কাজ করছে। এ বছরের প্রান্তিক আয় ঘোষণার সময়ও অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক এআর-সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব দেন। তাঁর ভাষ্য, ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির তুলনায় অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তি অধিক সম্ভাবনাময়। তবে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি দুই প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করে অ্যাপল।

ইতিমধ্যে নিয়ার আই-ডিসপ্লে নির্মাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য আলোচনাও শুরু করেছে অ্যাপল। এ ছাড়া প্রাইমসেন্স, মেটাইও, ফ্লাইবাইয়ের মতো এআর, থ্রিডি ম্যাপিং, কম্পিউটার ভিশন সফটওয়্যার নির্মাতা কয়েকটি উদ্যোগও অধিগ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাপলের লক্ষ্য হচ্ছে, এমন একটি স্মার্টগ্লাস তৈরি করা, যা তারবিহীন উপায়ে আইফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ স্মার্টগ্লাস পরিধানকারীর চোখের সামনে তথ্য তুলে ধরতে পারবে।

অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তি এখনো ততটা উন্নত হয়নি। গুগল গ্লাসের মুখ থুবড়ে পড়া তারই প্রমাণ। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট হিসেবে মনে করা হয় মাইক্রোসফটের হলোলেন্সের ডেভেলপার সংস্করণটিকেই। এর দাম তিন হাজার মার্কিন ডলার। ম্যাজিক লিপ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গোপনে এআর প্রযুক্তি তৈরিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটির পণ্য তৈরিতে ঝুঁকেছে। গুগল তৈরি করেছে ডেড্রিম প্ল্যাটফর্মের ভিউ হেডসেট। ফেসবুকের অকুলাস ভিআর ও স্যামসাং ভিআর উন্নত ভিআর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করছে। তবে অ্যাপল কবে নাগাদ এ প্রযুক্তির দিকে হাত বাড়াবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সম্প্রতি এআর প্রযুক্তি প্রসঙ্গে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন, ‘এখানে অনেক কঠিন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু এটা যখন এত বিশাল আকারে আসবে, তখন আমরা আশ্চর্য হয়ে যাব। এটা ছাড়া আমরা চলতে পারব না।’ তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ।