৯ম শ্রেণীর পড়াশোনা: জীববিজ্ঞান

অধ্যায়-

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৬ নম্বর অধ্যায় থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।

# অর্পা সেমাই রান্না করার জন্য কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখল। কিছু সময় পর সে লক্ষ করল, কিশমিশগুলো ফুলে উঠেছে। ব্যাপারটি তাকে কৌতূহলী করে তুলল।

প্রশ্ন: . প্রস্বেদন কাকে বলে?

প্রশ্ন: . ইমবাইবিশন বলতে কী বোঝায়?

প্রশ্ন: . উদ্দীপকে উল্লিখিত বস্তুর পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করো।

প্রশ্ন: . উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদ-দেহে সংঘটিত না হলে কী হবে? বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: . প্রস্বেদন: উদ্ভিদের পাতা ও অন্যান্য অঙ্গ থেকে জলীয়বাষ্প বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বলে।

উত্তর: . কলয়েড-জাতীয় শুকনা বা অর্ধ শুকনা পদার্থের তরল পদার্থ শোষণের বিশেষ প্রক্রিয়াকে ইমবাইবিশন অর্থাৎ উদ্ভিদ-দেহের কোষপ্রাচীর, প্রোটোপ্লাজম ইত্যাদির পানি শোষণ-প্রক্রিয়াকে ইমবাইবিশন বলা হয়।

অঙ্কুরোদগমের সময় শুকনা বীজ যে পরিমাণ পানি শোষণ করে, তার অধিকাংশই ইমবাইবিশন-প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে।

উত্তর: . অন্তঃঅভিস্রবণ-প্রক্রিয়ায় উল্লিখিত বস্তুর (কিশমিশ) মধ্যে পানি প্রবেশ করে। ফলে কিশমিশগুলো ফুলে ওঠে। যে অভিস্রবণ-প্রক্রিয়ায় পানি (দ্রাবক) কোষের বাইরে থেকে কোষের ভেতরে প্রবেশ করে, তাকে অন্তঃঅভিস্রবণ বলে। কিশমিশের ভেতরে কোষরসের ঘনত্ব বাইরের দ্রবণের ঘনত্ব অপেক্ষা বেশি। কিশমিশের বাইরের আবরণটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি হিসেবে কাজ করে থাকে। কিশমিশের বাইরে বাটির দ্রবণে পানির পরিমাণ বেশি। কিন্তু কিশমিশের ভেতরের দ্রবণে পানির পরিমাণ খুবই কম। এ অবস্থায় বাটি থেকে পানি কিশমিশের বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি ভেদ করে ভেতরে ঘন দ্রবণে প্রবেশ করছে। ফলে কিশমিশগুলো ফুলে গেছে। এটাই উল্লিখিত বস্তুর (কিশমিশ) পরিবর্তনের কারণ।

উত্তর: . উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি অভিস্রবণ। যে প্রক্রিয়ায় একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লির মধ্য দিয়ে হালকা ঘনত্বের দ্রবণ থেকে পানি (দ্রাবক) অধিক ঘন দ্রবণের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে অভিস্রবণ বলে।

মূলরোমের সাহায্যে পানি পরিশোষণ অভিস্রবণ-প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। কাজেই অভিস্রবণ-প্রক্রিয়া সংঘটিত না হলে পানি পরিশোষণ বিঘ্নিত হবে। উদ্ভিদের কোষ থেকে কোষের ভেতরে পানির চলাচল, কোষের স্ফীত অবস্থা বজায় রাখা, কোষের স্বাভাবিক আকার ও আকৃতি ঠিক রাখা, পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়া, প্রস্বেদনের হার নিয়ন্ত্রণে অভিস্রবণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অভিস্রবণ-প্রক্রিয়া সংঘটিত না হলে এসব শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হবে না। এ ছাড়া নরম কোষগুলোয় দৃঢ়তা প্রদান ও বীজের অঙ্কুরোদগমে অভিস্রবণের গুরুত্ব রয়েছে। সুতরাং অভিস্রবণ-প্রক্রিয়া উদ্ভিদ-দেহে সংঘটিত না হলে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলিতে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। ফলে উদ্ভিদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হবে।