বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ

বিশ্বের ৪০টি দেশের ৮০০ সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্য হিল একটি সমীক্ষা করেছে। এতে দেখা গেছে, ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেছে। ৬৭ শতাংশ বলেছে, তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চায়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও প্রেসিডেন্ট নিজেই যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার কথা বেশ কয়েকবার বলেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান করা না হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি বছর অপচয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত মাস পর্যন্ত মার্কিন কনস্যুলেটগুলো মাত্র ১৮ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করেছে।

বর্তমানে কোভিড–১৯ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, চীন ও ব্রাজিলের শিক্ষার্থীরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারছে না। এর ওপর মার্কিন সরকার যদি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ আবার শুরুও করে, তাহলে পুরোনো শিক্ষা ভিসার আবেদন বেশি বেশি জমার কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা পেতে বিলম্ব হতে পারে।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক স্টিফেন ইয়েলের মতে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেগুলো হচ্ছে—

১. প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসনের উচিত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া। সামনা-সামনি ভিসা সাক্ষাৎকারের প্রয়োজনীয়তা বাদ দেওয়া এবং অনলাইনে ভিসা সাক্ষাৎকার নেওয়া। উপরন্তু, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও ধাপগুলো ট্র্যাক করে এমন একটি সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

২. ডিএইচএসের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (এইচএসএএসি) পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা উচিত, যাতে উচ্চ শিক্ষার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এইচএসএএসি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য ডিএইচএসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

৩. প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত, যত দ্রুত সম্ভব আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প আমলের অভিবাসন আদেশ প্রত্যাহার করা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া।

৪. বাইডেনের অভিবাসন নির্দেশিকাগুলোর নবায়ন করা উচিত, যাতে নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পড়াশোনা করেও যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারে।

তা ছাড়া, বর্তমান সরকারের মার্কিন নাগরিকত্ব আইন ২০২১ এর প্রস্তাব অনুসারে, এফ-১ শিক্ষার্থীদের যেন এইচ-১ বি অস্থায়ী ভিসার লটারির ওপর নির্ভর না করে এমন ব্যবস্থা করা যাতে, স্নাতক পাশের পর তারা দ্রুত গ্রিনকার্ডের আবেদন করার সুযোগ পায়।