জাতীয় দলের একটু কাছে আশরাফুল

খুলনায় কাল শুরু হচ্ছে একটি চারদিনের ম্যাচ। এই ম্যাচে থাকছেন আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর তিনি প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন বিসিবির কোনো দলে


খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে কাল শুরু হচ্ছে একটি চারদিনের ম্যাচ। এই ম্যাচে খেলছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ম্যাচটা আশরাফুলের কাছে বিশেষ তাৎপর্যময়। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অপরাধে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন বিসিবির কোনো দলে।

ম্যাচটা আয়োজন করা হচ্ছে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কর্মসূচির আওতায়। এতে সুযোগ পেয়েছেন এইচপির কর্মসূচির আওতায় থাকা ক্রিকেটাররা। আছেন জাতীয় দল, ‘এ’ দল কিংবা জাতীয় দলের আশপাশে থাকা খেলোয়াড়েরাও। এই ম্যাচের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য আসন্ন জাতীয় লিগ ও অক্টোবর-নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। জাতীয় দলের বাইরে থাকা বেশির ভাগ খেলোয়াড় সবশেষ বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলেছেন মে মাসে শেষ হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল)। লম্বা বিরতির পর হঠাৎ বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট খেলতে নেমে যেন অস্বচ্ছন্দ বোধ না করেন, সেটির জন্যই এ ম্যাচের আয়োজন করা।

আজ খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সৌম্যর সঙ্গে আশরাফুল। ছবি: সাদ্দাম হোসেন
আজ খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সৌম্যর সঙ্গে আশরাফুল। ছবি: সাদ্দাম হোসেন

‘লাল’ ও ‘সবুজ’ নামে দুটি দলে আছেন ২৩ ক্রিকেটার। লাল দলের অধিনায়ক সৌম্য সরকার আর সবুজ দলের ইমরুল কায়েস। এই ২৩ ক্রিকেটারের একজন হওয়াটা বড় পাওয়াই মনে করছেন আশরাফুল, ‘এটা আমার জন্য ইতিবাচক দিক। বড় পাওয়া বলতে পারেন, অনেক দিন পর বিসিবির কোনো দলে সুযোগ পেলাম। বিসিবি ও নির্বাচকদের ধন্যবাদ। এখানে ভালো কিছু করতে পারলে জাতীয় দলের আরও একটু কাছে যাওয়া যাবে। সেটির চেয়ে বড় কথা, জাতীয় লিগের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ এটি। আমরা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট সবশেষ খেলেছি চার-পাঁচ মাস আগে। এখানে ভালো খেললে দারুণ একটা প্রস্তুতি হবে।’

জাতীয় দল এখনো অনেক দূরের বাতিঘর। তবে একটু একটু করে এগোচ্ছেন আশার পাল তুলে, আশরাফুলের জন্য এটাই অনেক!