তারা কেন এমন হলো?

>হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলাসহ দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ভাবেন তরুণেরাও। দেশ–বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এমন কয়েকজন তরুণ লিখেছেন তাঁদের ভাবনা


ক্যাম্পাসে বন্ধুদের মধ্যে সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে কথা হয়। তর্ক হয়। বিতর্কও হয়। কিন্তু গত বছর হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা হলো। হামলায় নেতৃত্ব দিল আমাদের বয়সীই কয়েকজন তরুণ। হত্যা করা হলো নিরীহ মানুষদের। নতুন মাত্রায় বন্ধুত্বের নজির স্থাপন করল ফারাজ।
এসব নিয়েও আমাদের আড্ডায় কথা হয়েছে। আশ্চর্য বিষয় হলো, কোনো বন্ধুকেই এমন হত্যাকাণ্ডের পক্ষে কথা বলতে দেখিনি। সবার যেন এক সুর, একজন মানুষ কখনো অন্য একজন মানুষকে হত্যা করতে পারে না।
সত্যিই তো, এমন হত্যাকাণ্ডের পক্ষে কোনো যুক্তিই চলে না। কে কোন ধর্মে বিশ্বাস করবে, এটা ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার। সেটা কারও ওপর আমরা চাপিয়ে দিতে পারি না। তাহলে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তারা কেন করল কাজটি?
এই প্রশ্নের উত্তর আমার ছোট মাথায় আসার কথা নয়। অপরাধ বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করবেন।
আমার শুধু মনে হয়েছে, আমার কোনো বন্ধু তো এমন হয়নি। তারা কেন এমন হলো?§ তারা কি ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়ের ভালোবাসা পায়নি? এই প্রশ্নের উত্তরও আমরা খবর পড়ে কিছুটা জেনেছি।
তাই আমাদের সবারই উচিত সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত হওয়া। এতে শুধু সমাজের উপকারই হবে এমন নয়, নিজেরও কাজে দেবে। আমরা যারা বিভিন্ন সংগঠন করি, আমাদেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এসব কাজে নিজের বন্ধুকে শামিল করা।
লেখক: শিক্ষার্থী, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়