সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য যেন বুঝি

>হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলাসহ দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ভাবেন তরুণেরাও। দেশ–বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এমন কয়েকজন তরুণ লিখেছেন তাঁদের ভাবনা

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় দেখলাম আমার বয়সী কিছু বিপথগামী মানুষকে। মনের মধ্যে নাড়া দিল। কেন তারা এই পথে গেল? §একজন বিতার্কিক হিসেবে জঙ্গিবাদ নিয়ে বিতর্কচর্চার খাতিরে কিছু কারণ আমি খুঁজে পেয়েছি—আদর্শের টানাপোড়েন, উগ্র ধর্মান্ধতা, হতাশাবোধ, নেগেটিভ ক্যাটালিস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। খেয়াল করে দেখেছি, আমাদের মতো তরুণদের একটা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিভ্রান্তির এই অন্ধকার। তবে বিভ্রান্তির এই বলয় খুব বেশি বড় নয়, খুব বেশি শক্তিশালীও নয়।
আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছুই আমাদের আছে। আমরা তরুণেরা কত কিছুই তো করছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরছি। কিছুদিন আগেই বিতর্কে এসেছে আন্তর্জাতিক অর্জন। যুক্তিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছি আমরা তরুণেরা। অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র চর্চার পথে সংসদীয় বিতর্ক, পলিসি ডায়ালগ ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের চিন্তা ও ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করছে তারা। বিষয়ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় বেড়ে চলেছে আমাদের তরুণদের মুখর পদচারণ। আমরাই হার্ভার্ড, এমআইটি ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়তে যাচ্ছি। দিনকে দিন এই অর্জনগুলো আরও বাড়ছে।
জীবনে হতাশা আর বিভ্রান্তির গল্প থাকবেই। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই আশপাশের সুন্দর তারুণ্যের অর্জনগুলো অনেক বেশি হয়ে চোখে ধরা দেবে। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সত্য আর মিথ্যার পার্থক্যটা বোঝা। আমরা যেন তা বুঝে পথ চলি। ভালো কিছু করার ইচ্ছাশক্তি আর প্রচেষ্টা থাকলে তারুণ্যের জয় হবেই।
লেখক: শিক্ষার্থী, নৌযান ও নৌ যন্ত্রকৌশল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)