পেশাগত উৎকর্ষের শিখরে

>

ড. সাইফুর রহমান। ছবি: খালেদ সরকার
ড. সাইফুর রহমান। ছবি: খালেদ সরকার

যে পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন টেলিফোনের উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসনের মতো বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী, সেই আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইইই (আই ট্রিপল ই)–এর পাওয়ার এনার্জি সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনটির এই পদে তিনি বাঙালি হিসেবে তো বটেই, এশীয়দের মধ্যেও প্রথম। তিনি ড. সাইফুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভান্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির জোসেফ আর লরিং অধ্যাপক। এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন তাঁকে নিয়েই।

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, টমাস আলভা এডিসন—আধুনিক জীবনযাপনের জন্য অনেকটাই অবদান এই দুই বিজ্ঞানীর। তাঁরা যে পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, কালের বিবর্তনে সেই সংগঠনের নাম এখন আইইইই (আই ট্রিপল ই), মানে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স। টেলিফোনের উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসনের উত্তরসূরি হিসেবে সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন বাঙালি—চোখ কপালে উঠলেও ঘটনা এমনই।

আইইইই বর্তমান বিশ্বে পেশাজীবীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। দুনিয়াজুড়ে রয়েছে এর শাখা। সদস্যসংখ্যা প্রায় সোয়া চার লাখ। পেশাগত ক্ষেত্র ধরে এর আছে বেশ কয়েকটা সোসাইটি। সেগুলোর একটি হলো পাওয়ার এনার্জি সোসাইটি (পিইএস)। ২০১৮-১৯ সালের জন্য আইইইই পিইএস পরিচালনার জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান। কথার শুরুতে জিজ্ঞেস করলাম, আপনিই তো এই পদে প্রথম বাঙালি। ‘বলতে পারেন আমি ভাগ্যবান। শুধু বাঙালি নয়, এর আগে কোনো এশিয়ান আইইইই পিইএসের সভাপতি নির্বাচিত হননি।’ বললেন সাইফুর রহমান। জানা গেল, পিইএস হলো আইইইইর সবচেয়ে পুরোনো সোসাইটি। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৩৮ হাজার। পরবর্তী কমিটির জন্য সভাপতি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। সাইফুর রহমান একাই অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন। পদাধিকারবলে তিনি আইইইইর টেকনিক্যাল অ্যাকটিভিটিজ বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি সোলার প্যানেল প্রকল্পে সাইফুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি সোলার প্যানেল প্রকল্পে সাইফুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সময় নেই সময় নষ্ট করার

নির্বাচিত সভাপতি (প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট) হয়েই তাঁর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। বললেন, ‘ঢাকায় আসার আগের এক মাসে ২০টি বিমানবন্দরে যেতে হয়েছে আমাকে।’ ঢাকায় প্রায়ই আসেন সাইফুর রহমান। এবারে আসার মূল কারণ ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে অনুষ্ঠিত কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ২০তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের একটি পরিকল্পনা (প্ল্যানারি) অধিবেশনে মূল বক্তৃতা দেওয়া। পাশাপাশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও বক্তৃতা করেছেন। ঢাকার বারিধারায় ২৫ ডিসেম্বর তাঁর বাড়িতে বসেই কথা হলো।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি শক্তি খাতের পেশাজীবী, অর্থাৎ প্রকৌশলীদের সর্বোচ্চ সংগঠনের নেতৃত্ব দেবেন—এটা সাইফুর রহমানের অনেক পরিচয়, অনেক অর্জনের মাত্র একটি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভান্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির জোসেফ আর লরিং অধ্যাপক। এবার ঢাকায় আইসিসিআইটি সম্মেলনে সাইফুর রহমান যে বিষয়ে বক্তৃতা করেন, সেটি ছিল স্মার্ট গ্রিড। বিষয়টা খোলাসা করলেন তিনি। বললেন, ‘ধরুন কখনো কখনো বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহকেন্দ্রের ওপর চাপ পড়ে। সেই খবর যদি বড় বড় বিল্ডিং, বিশেষ করে বাণিজ্যিক ভবনে আগেই জানানো যায়, তখন কিন্তু শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে এমন যন্ত্রপাতি চালানোর ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ কাজটি মানুষ না করে স্মার্ট গ্রিডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশে এ রকম ব্যবস্থা বেশ কার্যকর হবে।’

সাইফুর রহমান স্মার্ট গ্রিড নিয়ে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি এখন তিনি কাজ করছেন ‘ক্রস বর্ডার এনার্জি’ নিয়ে। সোজা কথায় বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি। ‘সব দেশে তো চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাবে না। যেখানে বিদ্যুৎ রয়েছে, সেই দেশ অন্য দেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারে। বর্তমান বিশ্বে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এটা ভালো একটা উপায়।’

স্ত্রী–সন্তানদের সঙ্গে
স্ত্রী–সন্তানদের সঙ্গে

অতীত দিনের স্মৃতি

আমরা ফিরে যাই তাঁর ছাত্রজীবনে। ‘আমি কিন্তু ঢাকারই ছেলে। জন্মের পর বড় হয়েছি এলিফ্যান্ট রোডে।’ সাইফুর রহমানের দাদা আব্দুল গণি ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মুর্শিদাবাদ থেকে চলে আসেন ঢাকায়। আব্দুল গণি ঢাকা বার কাউন্সিলের সভাপতি ছিলেন। সাইফুর রহমানের জন্ম ঢাকায়। বাবা সিরাজুর রহমান ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, নটর ডেম কলেজ—এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। স্বাধীনতার আগে ভর্তি হয়েছিলেন বুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগে। তখন এর সঙ্গে ইলেকট্রনিকস যুক্ত হয়নি। স্নাতক হয়ে বের হন ১৯৭৩ সালে।

মা–বাবা ও ভাইবোনদের সঙ্গে সাইফুর রহমান (বাঁয়ে)
মা–বাবা ও ভাইবোনদের সঙ্গে সাইফুর রহমান (বাঁয়ে)

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতিচারণা করলেন সাইফুর রহমান। তিনি তখন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত। ছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক। বললেন, ‘আমার ছোট ভাই শামীমুর রহমানকে ’৭১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানি বাহিনী নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে। আমরা ঢাকার বাসাতেই ছিলাম। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হামলার নৃশংসতা পরের দিন কাঁটাবন বস্তিতে গিয়ে দেখেছিলাম। মনে আছে, এরপর আমাদের বাসায় কালো পতাকা টানানো ছিল। পাকিস্তানি সেনাদের একটা দল এসে নিচ থেকে ডাকাডাকি শুরু করল। বাসায় আমি আর আমার বাবা। আমি দোতলার বারান্দায় গেলাম। নিচ থেকে পাকিস্তানি সেনারা বলল, ‘ঝান্ডা’ এখনো উড়ছে কেন? আমি তো ভাবলাম এই বুঝি গুলি করে। তখন আশপাশের সব বাড়ি থেকেই কালো পতাকা নামানো শেষ। একজন কর্মকর্তা বাঁশের লাঠিসহ কালো পতাকা নিচে ফেলে দিতে বলল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বক্তৃতার দিন তিনি সেখানে ছিলেন। ছিলেন নিয়াজির আত্মসমর্পণের দিনও। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও সাইফুর রহমান গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। ‘প্রেস ট্রাকে থেকে কাছ থেকেই দেখতে পেরেছি বঙ্গবন্ধুকে। আমি সে সময় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করতাম। সেই পরিচয় দিয়েই বিমানবন্দরে সেদিন ঢুকতে পেরেছিলাম।’

বুয়েটের স্মৃতি তাঁর কাছে উজ্জ্বল। বললেন, ‘বুয়েট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের পতাকা তৈরি হয়েছিল।’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ল্যাবে
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ল্যাবে

গবেষণায় বিদ্যুৎ

১৯৭৩ সালে পাস করার পর বুয়েটে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন সাইফুর রহমান। ১৯৭৪ সালে যান যুক্তরাষ্ট্রে। স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে তড়িৎবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর তড়িৎ প্রকৌশলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে। তাঁর বিষয় ছিল পারমাণবিক বিদ্যুতের রিফুয়েলিংয়ের সেরা উপায় নিয়ে। এরপর দেশে ফিরে এসেছিলেন, বুয়েটের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। কারণ হিসেবে বললেন, কাজ করার সুযোগ ওখানে বেশি পাওয়া যাবে।

কাজ, অর্থাৎ গবেষণা করার সুযোগ ভালোই পেয়েছেন সাইফুর রহমান। তাই তো তাঁর মেধা, প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাচ্ছেন দুনিয়ার বিদ্যুৎ-ব্যবস্থার উন্নয়নে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়িয়ে এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখা যায় কীভাবে, সে ব্যাপারে নীতিমালা তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন তিনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক নীতিমালা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে সাইফুর রহমানের আগ্রহ অনেক আগে থেকেই। ১৯৭৪ সালে তিনি যখন ছাত্র, তখন শিক্ষানবিশি করার সুযোগ পান। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাঘা বাঘা নীতিমালাপ্রণেতার নজরে আসেন। তরুণ সাইফুরের বেশ কিছু প্রস্তাব তাঁরা গ্রহণও করেন। সেই থেকে শুরু—এখন তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন স্মার্ট গ্রিড, আন্তদেশীয় বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায়।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা নিয়েও কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমাদের যে চাহিদা, তা সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ভারত, চীন কমিয়ে দিয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। দুর্ঘটনার প্রস্তুতি িহসেবে বা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা করার জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকতে হয়।’

কোন দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত? সাইফুর রহমান মনে করেন, বিদ্যুৎ আমদানি করা যায়। অন্য দেশ যদি বিদ্যুৎ কখনো বন্ধ করে দেয়? ‘বৈশ্বিক চুক্তি করতে হবে সেভাবে। এ ধরনের অনেক চুক্তি তো আছেই। চাইলেই ওই দেশ বন্ধ করতে পারবে না। চীনের ইউনান থেকে যদি মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ আনা যায়, তবে তা খারাপ হবে না। আমাদের এখানে অনেক কিছুই করা হয় না জেনে। না জানলে সে পথে হেঁটো না—এটা মেনে চলতে পারলে ভালো হয়।’ বললেন তিনি।

হাঁটিতেছি পথ

১৯৪৯ সালের ২৭ আগস্ট জন্ম সাইফুর রহমানের। সেই হিসাবে বয়স ৬৮ পেরিয়েছে। কিন্তু ঋজুদেহী এই মানুষকে দেখে তা কে বলবে? ‘যেখানেই থাকি, প্রতিদিন পাঁচ-ছয় কিলোমিটার হাঁটি। না হাঁটলে কোনো শহরকে বোঝা যায় না।’ তাঁর অবসর তেমন একটা নেই বললেই চলে। এর মধ্যেই ছবি তোলার জন্য সময় বের করেন। আর যমজ দুই নাতনিকে নিয়ে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করেন। স্ত্রী ইয়াসমীন রহমান শিশু মনোবিজ্ঞানী। দুই ছেলে রাশেক ও ওমর এবং মেয়ে মোনা—সবাই প্রতিষ্ঠিত নিজ নিজ পেশায়।

২০১৩ সালে পেয়েছেন আইইইই পাওয়ার এনার্জি সোসাইটির পুরস্কার
২০১৩ সালে পেয়েছেন আইইইই পাওয়ার এনার্জি সোসাইটির পুরস্কার

যত কাজ তত সম্মান

মার্কিন সরকার থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এখনো বেশ কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে। তাঁর ক্ষেত্রের মর্যাদাপূর্ণ সব জার্নালেই লিখেছেন কারিগরি প্রবন্ধ। www.saifurrahman.org ঠিকানার ওয়েবসাইটে গেলে সেসবের দীর্ঘ তালিকা দেখা যায়। আইইইইর সর্বোচ্চ সদস্যপদ ফেলো পেয়েছন দুই দশক আগে। আইইইই টেকনিক্যাল অ্যাকটিভিটিজ বোর্ড হল অব অনারে তাঁর নাম উঠেছে ২০১৪ সালে। ভার্জিনিয়া টেকের সেরা দশ শিক্ষকের একজন তো হয়েছেন অনেক আগেই। এ রকম অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে সাইফুর রহমানের ঝুলিতে।

পাকিস্তান টিভির ‘বলুন দেখি’ ধাঁধার আসরে বিজয়ী হয়েছিল তাঁদের দল (মাঝে), ১৯৬৯ সাল
পাকিস্তান টিভির ‘বলুন দেখি’ ধাঁধার আসরে বিজয়ী হয়েছিল তাঁদের দল (মাঝে), ১৯৬৯ সাল

সভাপতি হিসেবে আগামী দুই বছর আইইইই পিইএসের সদস্যদের জন্য কাজ করবেন। তাঁরা যাতে বেশি ভ্যালু পান, সে ব্যাপারে কাজ করে যেতে চান সাইফুর রহমান। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো যায় কীভাবে, সে ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কাজ করতে চান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই গবেষক।