এগিয়েই থাকলেন মারুফা ইসলাম

মারুফা ইসলাম।  ছবি: সংগৃহীত
মারুফা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালে মারুফা ইসলাম আড়াই হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলেন অনলাইনে পোশাক বিক্রি। তখন অনেকের আপত্তি ছিল। তবে নিজের কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল প্রবল। এখন অনলাইন ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারুফা ইসলামের নাম অগ্রগণ্য একটি নাম। প্রথম সারির ফ্যাশন উদ্যোক্তা তিনি। তাঁর তৈরি আরজেএইচএম ক্রিয়েশনস ও বি স্টাইলিশ বাই—পরিচিতি দুটি নাম। শুধু অনলাইনে ব্যবসায় না, এখন বনানী ও ধানমন্ডিতে দুটি শোরুমও দিয়ে ফেলেছেন নিজস্ব এসব পণ্যের। 

মারুফা ইসলামের এই উদ্যোগের স্বীকৃতিও মিলেছে সম্প্রতি। গত ২৩ আগস্ট নারীদের জোট পোশিয়ান কনফারেন্সে ১০ ক্যাটাগরিতে নারীদের সম্মাননা দেওয়া হয়। অনলাইন ভোটে এসব ‘লিডিং বাই এক্সামপল’ বা ‘এগিয়ে থাকার উদাহরণ’ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান মারুফা ইসলাম। 

পোশিয়ান কনফারেন্সে মারুফাকে দেওয়া প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, অনলাইন ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনি সৎ ও বিশ্বস্ত। মানসম্পন্ন কাপড়ের জোগান দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তবে এসব পণ্যের দাম অবশ্যই সাশ্রয়ী। 

অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর মারুফা যখন দেশের বাইরে থেকে আনা কোনো পোশাক পরে ফেসবুকে পোস্ট দিতেন আপনজনদের কাছ থেকে বাহবা পেতেন। কেউ কেউ এমন ধরনের পোশাক কিনতে চাইতেন। বাইরে থেকে একটা-দুটো পোশাক নিয়ে এসে তা বিক্রি শুরু করলেন মারুফা। দিন দিন অর্ডার বাড়তে থাকল। এরপর অনলাইন পেজ ‘আরজেএইচএম ক্রিয়েশনস’ ২০১৩ সালে চালু হলো। স্বামী জাতীয় দলের ফুটবলার মাজহারুল ইসলাম একবার বিদেশ সফর সেরে এসে উপহার হিসেবে এক হাজার ডলার দিলেন। জমানো টাকার সঙ্গে এ অর্থ মিলিয়ে ব্যবসা শুরু হলো বড় পরিসরে। ফেসবুক গ্রুপ ‘বি স্টাইলিশ বাই মৌ’ তৈরি করলেন। এখন এর অনুসারী দুই লাখের বেশি। এ নামে পেজ, গ্রুপ, শোরুম—সবই আছে। নারীদের পোশাকের সম্ভার এসব। 

 মারুফা ইসলাম বলেন, ‘নিজে কিছু করার প্রত্যয়ে আমি এগিয়ে গেছি। স্বামীর আন্তরিক সহযোগিতা ছিল। এত দিনের কাজের স্বীকৃতিও এবার পেলাম পোশিয়ান কনফারেন্সে।’