ব্রেসলেটে মাসিক সচেতনতা

রাঙামাটির চাকমা সার্কেলের রাজা দেবাশীষ রায় ও রানি ইয়ান ইয়ান হাতে ব্রেসলেট পরে মাসিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন।  ছবি: সংগৃহীত
রাঙামাটির চাকমা সার্কেলের রাজা দেবাশীষ রায় ও রানি ইয়ান ইয়ান হাতে ব্রেসলেট পরে মাসিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৮ মে দেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব মাসিক পরিচ্ছন্নতা বা সচেতনতা দিবস। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে দিবসটি পালনে নারী-পুরুষ সবাই হাতে বিশেষ একটি ব্রেসলেট পরেন।

 বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় ১১টি ভাষাভাষী বিভিন্ন ধর্ম বৈচিত্র্যের ক্ষুদ্র জাতিসত্তারবসবাস। এসব অঞ্চলে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষ করে পিরিয়ড বা মাসিক নিয়ে আছে নানান কুসংস্কার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিমাভির সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের তত্ত্বাবধানে তিন পার্বত্য জেলায় ১০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারীর স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।

 বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টংগ্যার প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিলেটর নীলা চাকমা বলেন, নারী ও মেয়ে শিশুদের গড়পড়তা ২৮ দিন পরপর মাসিক হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাসিকের স্থায়িত্ব হয় ৫ দিন। ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। সাদা ২৮টি গুটিকা বা পুঁতি দিয়ে ব্রেসলেট তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাসিকের প্রতীক হিসেবে ৫টি গুটিকা লাল রঙের। এবার সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের বিস্তারে মাসিক সচেতনতা দিবসটি সেভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি। তবে ওয়াশ ইউনাইটেডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এনজিও বা বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা ব্রেসলেট তৈরি করে তা হাতে পরে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চালিয়েছেন।

টংগ্যা বরকল রাঙামাটি, বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। রাঙামাটির চাকমা সার্কেলের রাজা দেবাশীষ রায় ও রানি ইয়ান ইয়ান হাতে ব্রেসলেট পরে মাসিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন। রানি তাঁর ফেসবুকে তাঁদের দুজনের ছবিও পোস্ট করেছেন।

 জার্মানভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াশ ইউনাইটেডের উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে নারীর মাসিক সচেতনতা বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো শুরু করে। ২০১৪ সাল থেকে মে মাসের ২৮ তারিখে মাসিক সচেতনতা দিবসটি পালিত হচ্ছে।