অনন্যাদের 'জেনো পাশে আছি'

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অনন্য যে নারী, তিনিই অনন্যা। আর এমন অনন্যাদের একটি কার্যক্রম হচ্ছে ‘জেনো পাশে আছি’। করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের সংগ্রহ করা তহবিলের মাধ্যমে শহর ও গ্রাম অঞ্চলের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। গত মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম সামনেও ধরে রাখতে চান অনন্যারা।

অনন্যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি গ্রুপ। এসএসসি ৯৬ ও এইচএসসি ৯৮ ব্যাচের নারী শিক্ষার্থী ছিলেন যাঁরা, তাঁদের নিয়ে গ্রুপটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে। বর্তমানে এখানে নারী সদস্য আছেন ২ হাজার ২৪৫ জন।

অনন্যার একজন অ্যাডমিন নাসরীন জাহান বলেন, নারী সদস্যদের বিভিন্ন প্রয়োজনে আর্থিক ও মানসিকভাবে পাশে দাঁড়ানো, মতামত প্রকাশ, কাজে উৎসাহিত করা ও দক্ষতা বাড়াতেই এই গ্রুপ কাজ করে। নারী তাঁর নিজের স্থানে আলাদা ও ভিন্ন—এমন চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়েই অনন্যার সৃষ্টি।

কারোনার এই সময়ে অনন্যা গ্রুপের নারী সদস্য, তাঁদের পরিবার, আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা কাজ হারিয়েছেন। এমন অবস্থায় নিজেদের উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ২৫ টিরও বেশি পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে ‘জেনো পাশে আছি’ কার্যক্রম। তহবিল সংগ্রহ করে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনন্যারা।

গ্রুপের কার্যক্রম হিসেবে গ্রুপের সদস্যদের চিকিৎসা খরচে সহায়তা করার পাশাপাশি স্তন ক্যানসার নিয়ে পরামর্শ, পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারীদের সাহায্য, বিশেষ শিশুদের যত্ন নিয়ে মায়েদের নানা রকম পরামর্শ দেওয়া, কাজের দক্ষতা বাড়াতে কর্মশালা ও মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয় ভিডিওর মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা নিজেদের পরিচয় গোপন করে সমস্যাগুলোর জন্য পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ব্যবসার জন্য সদস্যরা যেকোনো অনলাইনভিত্তিক বুটিক, রান্নাসহ বিভিন্ন ব্যবসার প্রচারে সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়ে থাকেন।
সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের পড়াশোনার জন্য ‘অনন্যা বৃত্তি কার্যক্রম’ চালু করার স্বপ্ন দেখছেন অনন্যার নারীরা।