পোশাকশিল্পের মায়েদের জন্য

জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের কার্যক্রমটির নাম হচ্ছে ‘মাদার্স অ্যাট ওয়ার্ক’ কার্যক্রম। এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সন্তানকে দুধ খাওয়ানো ও করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারছেন পোশাকশিল্পে কর্মরত নারী কর্মীরা।

দেশের প্রায় ৮২টি পোশাকশিল্প কারখানায় কর্মরত মায়েরা এ সুবিধা পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগিতায় ২০১৬ সাল থেকে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ঢাকার বাইরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও চট্টগ্রামেও এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মজীবী মায়েরা বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন।

প্রতিটি কারখানায় মাতৃত্বকালীন বৈতনিক ছুটি, একটি বা দুটি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার রাখা এবং সেখানে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন মায়ের গোপনীয়তা রক্ষা, তোয়ালে রাখা, আরামদায়ক চেয়ার, টেবিল, বেসিন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, ফ্রিজ ইত্যাদি রাখা, সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে কাজের ফাঁকে ১৫ মিনিট করে বিরতি, নিয়মিত বেতন, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বা ডে কেয়ার সুবিধার পাশাপাশি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে বেশ কিছু সুবিধা মায়েরা পাচ্ছেন এ কার্যক্রমের আওতায়।

মাদার্স অ্যাট ওয়ার্ক কার্যক্রমের অধীনে থাকা প্রতিটি ছোট কারখানায় একটি ও বড় কারখানায় দুটি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে ইউনিসেফ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়।

কর্মজীবী মায়েরা বিনা মূল্যেই মাদার্স অ্যাট ওয়ার্ক কার্যক্রমের সব সুবিধা পাচ্ছেন।

ইউনিসেফের দেওয়া তথ্যমতে, এই কার্যক্রমের ফলে কর্মীদের অনুপস্থিতির হার ও চাকরি ছাড়ার হারও কমেছে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের ফান্ডরেইজিং অ্যান্ড পার্টনারশিপ বিশেষজ্ঞ জাহিদুল হাসান জানান, প্রতি কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ২৫ জন কর্মী সন্তানকে দুধ খাওয়ানো ও ডে কেয়ারের সুবিধা পান। সে হিসাবে এই কার্যক্রমের অধীনে প্রায় ২ হাজার ৫০ জন নারী নানা সুবিধা পাচ্ছেন।