বিজ্ঞাপনশিল্পের সফল নারী

লরা ল্যাং
লরা ল্যাং

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী টাইম, ফরচুন, পিপল, লাইফ, গলফসহ আরও একাধিক প্রকাশনা রয়েছে টাইম ইনকরপোরেটেডের। ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের ৯০টির বেশি ম্যাগাজিন আছে। আর এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরা ল্যাং। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করেছেন লরা। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম ব্র্যান্ড এজেন্সি ডিজিটাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা লরা টাফটস ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন স্কুল থেকে ফিন্যান্সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেশার শুরুটা করেছিলেন পণ্য ও ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ে।
পরবর্তী সময়ে রিটেইল, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন, বিনোদন, ভ্রমণ এবং গেমিং খাত নিয়েও কাজ করেছেন লরা। ১৯৯৯ সালে ডিজিটাসে যোগ দেওয়ার পর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে দ্বিগুণ লাভ করে ডিজিটাস। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে টাইম ইনকরপোরেটেডে প্রধান নির্বাহী হিসেবেও কৃতিত্ব দেখান তিনি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে লরার ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয় হয়েছে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একাধিক স্বীকৃতি। ২০০৮ সালে অ্যাডভার্টাইজিং এজ ‘ওমেন টু ওয়াচ’ নামে ভূষিত করেন লরাকে। এ ছাড়া বিটুবি ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে ‘হু’জ হু’ তালিকায় ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত লরা ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন এবং এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার তৈরির ব্যাপারেও কাজ করছেন তিনি।
গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী
তথ্যসূত্র: অ্যাডএজ, উইকিপিডিয়া