পড়াশোনাটা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার আলী। ৫২ বছর বয়সে এসএসসি পাস করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন।

আনসার আলী
আনসার আলী

পড়াশোনা তো ছেড়েই দিয়েছিলেন। হঠাৎ করে এই বয়সে...
পড়াশোনার আগ্রহ আমার সব সময়ই ছিল। বাবা-মায়ের মৃত্যুর কারণে ১৯৭৭ সালের পর আর পড়াশোনা করতে পারিনি। ওই বছর আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। তারপর তো পুরো সংসারের দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে। আর বছর চারেক আগে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর আরও ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু পড়াশোনার আগ্রহ কখনো হারাইনি। পরে ২০১৩ সালে আমার ছোটবেলার বন্ধু স্কুলশিক্ষক শরাফত আলীর মাধ্যমে ওরই পরিচালিত সন্ন্যাসীভিটা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হই। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পাস করি।
ব্যস্ততার মাঝে পড়াশোনা করার সময় পেতেন?
প্রতিদিন সকালে একবার বই নিয়ে বসতাম। কিছু সময় পড়তাম। আর শুক্রবার পরিষদে কাজের চাপ কম থাকত। সেদিন বেশির ভাগ সময় পড়াশোনা করেই কাটাতাম।
ছেলে আর আপনি একসঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। কেমন লাগছে?
অনেক ভালো। ছেলে আমাকে স্কুলে নিয়ে যেত। পড়াশোনা দেখিয়ে দিত। পরামর্শ দিত। আমার পাস করার পেছনে ওর সহযোগিতা আছে। বাবা-ছেলে একসঙ্গে পাস করায় এলাকার লোকজন কিন্তু বাহবাই দিচ্ছে। আমারও বেশ ভালো লাগছে।
এখন কী চিন্তা করছেন?
পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন ভর্তি হওয়ার কথা বলছেন। এলাকাবাসীও উত্সাহ দিচ্ছে। নিজের ভেতরে তাগিদ অনুভব করছি। সময় বের করতে পারলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনাটা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।