অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো দিনে হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত

অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে সিডনি শহরে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

করোনার ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর অস্ট্রে্লিয়ার পরিস্থিতি এখন তুলনামূলকভাবে খারাপের দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রথমবারের মতো দেশটিতে হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

অস্ট্রেলিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে সিডনি শহরে। নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের এই শহরে এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৯ জনের বেশি মানুষ। অপর দিকে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্ন শহরে একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ জন।

গত জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে নতুনভাবে সিডনিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শহরটিতে সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। জারি করা হয় চলাচলে বিধিনিষেধ। দুই মাসের বেশি সময় ধরেই বাসা থেকে না বের হওয়ার নির্দেশনার আওতায় রয়েছে সিডনি। লকডাউনে আটকা পড়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার অন্য অঞ্চলের লোকজনও। দেশটিতে এই মুহূর্তে ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

এদিকে এমন সময় রেকর্ড পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্ত করা হলো, যখন নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়া রাজ্যটিতে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। তখন থেকে টিকা নেওয়া সর্বোচ্চ পাঁচজন ঘরের বাইরে একত্র হতে পারবেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রায় ৮০ লাখ বাসিন্দাকে এর মধ্যেই ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

করোনা শনাক্তের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষের। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে করোনার টিকাদানে বেশ পিছিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সরবরাহ বাড়ায় গত কয়েক সপ্তাহে এ কার্যক্রম গতি পায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনার টিকা পেয়েছেন এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক।