আন্দোলনকারীদের সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে কানাডার আদালতের নির্দেশ

করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে ট্রাকচালকেরা দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছেন
ছবি: রয়টার্স

করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে কানাডার রাজধানী অটোয়ায়। আন্দোলনরত ট্রাকচালকেরা দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিংও বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কানাডার আদালত। খবর বিবিসির।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা থেকে আন্দোলনকারীদের ক্রসিংটি থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নির্দেশনা অমান্য করে এখনো সেটি অবরোধ করে রাখা হয়েছে।

অবরোধ করে রাখা সীমান্ত ক্রসিংটি অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ নামে পরিচিত। সেটি কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইন্ডসোর ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ ছাড়াও কানাডার আরও কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে আন্দোলন চলছে।

এদিকে আদালতের আদেশের পর সীমান্ত ক্রসিংটি অবরোধ করে রাখাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ধরা হবে বলে জানিয়েছে উইন্ডসোর পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে পুলিশ বলেছে, আদালতের আদেশ অমান্য করলে তাঁদের যানবাহনগুলো জব্দ করা হতে পারে। এমনকি তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

এর আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্টারিওতে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রদেশটির প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

কানাডার সরকার গত ১৫ জানুয়ারি আন্তসীমান্ত ট্রাকচালকদের জন্য করোনার টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এর আওতায় কানাডার যে ট্রাকচালকেরা টিকা নেননি, তাঁদের ট্রাক নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

বিদেশি ট্রাকচালকদের টিকা গ্রহণ নিয়ে বাধ্যবাধকতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রও। টিকাসংক্রান্ত এমন আদেশের পর ট্রাকচালকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।