আয়নার পেছনে চিঠি

প্রতীকী ছবি

এক দম্পতি তাঁদের সদ্য কেনা পুরোনো ফ্ল্যাট সংস্কার করছিলেন। গোসলখানায় সাজসজ্জার কাজ করার সময় আয়না সরাতেই পাওয়া গেল দুটি চিঠি। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের কলম্বাস শহরে ওই ঘটনা ঘটে। খবর যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউপিআইর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেয়ালের সঙ্গে সাঁটানো আয়না সরানোর পর পাওয়া যায় একই কাগজে লেখা খামে ভরা চিঠি দুটি। আয়নার পেছনে কায়দা করে খামটি রাখা ছিল। চিঠি দুটির একটি ১৯৬৭ সালের, আরেকটি ১৯৯৫ সালে লেখা।

মাসখানেক আগে জোডি ও কেন্ডাল লোসেকা দম্পতি ফ্ল্যাটটি কেনেন। তাঁরা জানান, চিঠি দুটি ফ্ল্যাটের পূর্ববর্তী বাসিন্দাদের রেখে যাওয়া। প্রথম চিঠিটি ৭ জুন ১৯৬৭ সালে লেখা। লেখকের নাম স্যু মার্শাল। তিনি যখন চিঠিটি লিখেন, তখন তাঁর বয়স ছিল আট বছর। এই চিঠিতে লেখা আছে, ‘আমি স্যু মার্শাল। আমি এখানে বসবাস করি। যে এই চিঠি খুঁজে পাবে তার জন্য শুভকামনা।’ মার্শালের চিঠির কাগজের অর্ধেকের বেশি অংশ ফাঁকা ছিল। দ্বিতীয় চিঠিটি ওই অংশেই লেখা হয়েছে। তাতে লেখা হয়, ‘আমি গোসলখানা সংস্কারের সময় চিঠিটি পেয়েছি। সম্ভবত আপনি একই কাজ করতে এসে এই চিঠি খুঁজে পেয়েছেন।’ দ্বিতীয় লেখকের নাম মাইক গোকি। ১৯৯৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যখন চিঠিটি লিখেন, তখন তিনি ২৭ বছরের যুবক।

লোসেকা বলেন, এই চিঠির লেখকদ্বয়কে খুঁজে বের করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। কারণ, তাঁর স্বামী জোডির সঙ্গে মাইক গোকি ও তাঁর স্ত্রী তারার বন্ধুত্ব আছে। অন্যদিকে তারার সৎমায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে স্যু মার্শালের।

চিঠি পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার নেব্রাস্কার ওই বাসায় মিলিত হয়েছেন লোসেকা, স্যু মার্শাল ও মাইক গোকি। স্যু মার্শাল নিজের হাতের লেখা চিনতে পেরেছেন। তাঁর ধারণা, বাবা-মায়ের অভিপ্রায়ে তিনি এই চিঠি লিখেছিলেন। এই বাড়িতে আরও চিঠি পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান তিনি। লোসেকা বলেন, সংস্কারকাজ শেষ হলে চিঠি দুটি আয়নার পেছনে রেখে দেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা ম্যাট স্ট্রিটফিল্ড তাঁর বাড়ি সংস্কার করতে গিয়ে একটি চিঠি খুঁজে পান। ১৯৭৪ সালে ওই চিঠি লিখেছিলেন চারজন নির্মাণশ্রমিক। তাঁরা তা বোতলে করে দেয়ালের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এর একজন লেখক রন নিদ্রিকে খুঁজে পাওয়া যায়।