আয়েশি কুমিরের কাণ্ড

রানওয়েতে রোদ পোহাচ্ছে কুমিরটি
সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটি। অঙ্গরাজ্যটির পশ্চিমে উপকূল ঘেঁষে ইউএস নেভাল এয়ার স্টেশন। ওই স্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ ও বিমানবাহিনীর সামরিক উড়োজাহাজ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। সম্প্রতি কয়েক ঘণ্টার জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্টেশনটির একটি রানওয়ে। ওই ঘটনার পেছনে ছিল একটি ‘আয়েশি’ কুমির!

ঘটনাটি গত সোমবারের। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ফ্লোরিডার ইউএস নেভাল এয়ার স্টেশনটি জলাভূমিঘেরা। সেসব জলাভূমিতে রয়েছে কুমির। সোমবার জল থেকে সাত ফুট দৈর্ঘে৵র একটি কুমির ডাঙায় উঠে আসে। এরপর সেটি হেলেদুলে চলে যায় রানওয়ের ঠিক মাঝখানে। সেখানে আরামে রোদ পোহাতে থাকে সেটি।

কুমিরটি রানওয়ে দখলে নেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় উড়োজাহাজের ওঠানামা। স্টেশনের কর্মীরা রানওয়ে থেকে আয়েশি কুমিরটিকে সরাতে গিয়ে গলদঘর্ম হন। তবু সফল হননি। সেটি রানওয়ে ছাড়েনি। সেখানেই রোদ পোহাতে থাকে প্রাণীটি। অবশেষে কুমিরটি সরাতে ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনের কর্মীদের ডাকা হয়। তাঁরা এসে কুমিরটিকে নিরাপদে জলে ফেরান।

এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ওই স্টেশনের কর্মীরা। ছবিতে কুমিরটিকে রানওয়ের ঠিক মাঝখানে রোদের মধ্যে আয়েশি ভঙ্গিতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ক্যাপশনে স্টেশনের কর্মীরা লিখেছেন, কুমিরকাণ্ডে ওই রানওয়েতে কয়েক ঘণ্টার জন্য উড়োজাহাজের ওঠানামা বন্ধ ছিল। এ সময় ব্যস্ত ওই এয়ার স্টেশনে বিকল্প রানওয়ে ব্যবহার করে সামরিক উড়োজাহাজ ওঠানামা করে।

নেভাল এয়ার স্টেশনের মুখপাত্র দেনেত্তে বাসো সিলভার্স সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই স্টেশনের আশপাশে অনেক কুমির রয়েছে। মাঝেমধে৵ই সেগুলো ডাঙায় উঠে আসে। আবার জলে ফিরে যায়। তবে এবারের মতো দীর্ঘ সময় কোনো কুমিরকে রোদ পোহাতে দেখা যায়নি। তা–ও আবার ব্যস্ত রানওয়ের ঠিক মাঝখানে।

ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশন জানায়, রানওয়েতে উঠে আসা কুমিরটি ‘আমেরিকান ক্রোকোডাইল’ প্রজাতির। ফ্লোরিডার দক্ষিণাঞ্চলে এই কুমির বেশি দেখা যায়।