রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ফ্রান্সের পর এবার জার্মানি অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউক্রেনে

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ
ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। এ ঘোষণার অংশ হিসেবে ১ হাজার ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র ও ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশটি। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংঘাতপ্রবণ কোনো অঞ্চলে জার্মানি অস্ত্র রপ্তানি করবে না—এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দেশটি এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানাল। এ বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ইউক্রেনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা।’

ইতিমধ্যে, ফ্রান্সের পাঠানো অস্ত্র ও সরঞ্জাম ইউক্রেনের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টুইটে বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে শনিবার সকালে তাঁর কথা হয়েছে। যুদ্ধবিরোধী জোট কাজ করছে। একই দিন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন মাখোঁ। সেখানে তিনি বলেন, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে, এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলা চালানোর ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে রাজধানী ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ড সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে ইউক্রেনের লাখো মানুষ।

আরও পড়ুন

শনিবার সকাল থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দুপক্ষের সেনাদের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। ভোর থেকে কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও ব্যাপক গোলাগুলির মুখে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন সরকার। দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়া অভিযান শুরু করার পর এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার সেনাকে হত্যা করেছে ইউক্রেন বাহিনী।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

অপরদিকে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধ যে শিগগিরই থামছে না, তা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাজ্যসহ ২৬টি দেশ একমত হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন