ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ‘সমাধি’

সমাধিফলকে লেখা ভালোবাসার বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ২৭ বছরের পথচলায় ইতি ঘটেছে। মাইক্রোসফট গত ১৫ জুন থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে সমর্থন বন্ধ করে দিয়েছে। এক সময়ের জনপ্রিয় ব্রাউজারটির ভক্তসংখ্যা অনেক। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন প্রকৌশলী কিয়ং জুং তেমনই একজন। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জন্য একটি সমাধি নির্মাণ করেছেন তিনি। নিউইয়র্ক পোস্ট–এর খবরে বলা হয়, ইতিমধ্যে কিয়ংয়ের তৈরি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সমাধির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রকৌশলী কিয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার জিওংজুতে একটি ক্যাফের ছাদে তৈরি করেছেন ওই সমাধি। এতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার লোগো ‘ই’ অক্ষরটি সমাধিস্তম্ভের ওপরে দেখানো হয়েছে। এর পেছনে ৩৩০ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন তিনি। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের উদ্দেশে লিখেছেন ভালোবাসার বার্তাও। সেই সমাধিতে লেখা হয়েছে, ‘অন্য ব্রাউজার ডাউনলোড করার জন্য বেশ ভালো একটি ব্যবস্থা ছিল এটি।’

জুংয়ের এ বার্তার সঙ্গে অবশ্য অনেকেই সহমত পোষণ করেন। কারণ, গত বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রোম বা অন্য গতিময় ব্রাউজার ডাউনলোড করার জন্য অনেকেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিয়ংকে এক্সপ্লোরার সম্পর্কে তাঁর আবেগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ব্রাউজার সম্পর্কে তাঁর মিশ্র অনুভূতির কথা বলেন। তিনি বলেন, একসময়ে খুব বিরক্ত লাগত, আবার অন্য সময়ে সুবিধাও হতো। কারণ, একটি যুগে এক্সপ্লোরারের বিকল্প কিছু ছিল না।

বর্তমানে চলছে গুগল ক্রোম আর সাফারি ব্রাউজারের দাপট। স্মৃতিপট হাতড়ে পুরোনো ব্রাউজারটিকে বিদায় জানাচ্ছেন অনেকেই। ১৯৯৫ সালে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের। ইন্টারনেট দুনিয়ার ইতিহাস বলছে, আত্মপ্রকাশের মাত্র এক বছরের মধ্যেই সর্বাধিক জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হয়ে উঠেছিল এ ব্রাউজার।