ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুতায় এবার সুদান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই ঘোষণা দিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে সুদান
ছবি: রয়টার্স
সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও বাহরাইনের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে সুদান। এবারও কলকাঠি নাড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে সুদান। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প শুক্রবার বলেছেন, কমপক্ষে আরও ৫টি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে চায়।
আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুদান তৃতীয় দেশ, যে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইন একই পথে হাঁটে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।  ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই চুক্তিটি ‘নতুন যুগ’-এর সূচনা করবে এবং শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়ায় এটি একটি ‘নাটকীয় অগ্রগতি’। তিনি আরও জানান, ইসরায়েল ও সুদান সরকারের প্রতিনিধিরা খুব শিগগিরই বাণিজ্যিক ও কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক। সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দেওয়ায় তিনি এই ধন্যবাদ জানান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেন যে, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে আরব দেশ বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অবশ্য সেই চুক্তির স্বাক্ষরের বিষয়ে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল এই তিন দেশ। ওই চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পরই সুদানের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকের ঘোষণা এল।
এর আগে ১৯৯৪ সালে জর্ডান শান্তিচুক্তি করেছিল ইসরায়েলের সঙ্গে। আরব লীগের আরেক সদস্য মৌরিতানিয়া ২০০৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আরব দেশগুলোর ক্রমান্বয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিন। এসবের নিন্দা জানাচ্ছে ফিলিস্তিন।

আরও পড়ুন