করোনায় দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে অবস্থা ‘বেশি গুরুতর’ হতে পারে

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী দ্বিতীয় দফায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁদের অবস্থা ‘বেশি গুরুতর’ হতে পারে। চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট–এর প্রকাশনা হলো দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নাল। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা কোনো ব্যক্তির দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই দেশটি করোনায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে। গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়, একবার করোনায় আক্রান্ত হলেই ওই ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা (ইমিউনিটি) তৈরি হবে, এটা নিশ্চিত নয়।  আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এসব কথা জানিয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ব্যক্তি নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ২৫ বছরের এক তরুণ। প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। দেখা গেছে, প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর অবস্থা বেশি গুরুতর। দ্বিতীয়বার তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। দ্বিতীয়বার একই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার চরিত্র ছিল আলাদা। গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন দেশের এমন আরও চারটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, হংকং ও ইকুয়েডর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে বিশ্ব এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার ইঙ্গিত পেতে পারে।

গবেষণার প্রধান লেখক মার্ক পানডোরি বলেন, দ্বিতীয় দফায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্যতা কোভিড-১৯ প্রতিরোধের বিষয়টি বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যখন এর কার্যকর কোনো টিকা নেই। এই গবেষক আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি হলে ঠিক কত দিন তা থাকে, সেটা জানতে আমাদের আরও অনেক গবেষণা দরকার। দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কম হলেও এটি কেন এত ভয়াবহ, সেটা বুঝতেও আরও গবেষণা প্রয়োজন।’