টিটিপি কোন পথে যায় তাই এখন দেখার বিষয়

মার্কিন ড্রোন (মানুষবিহীন বিমান) হামলায় তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার পর সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল বলেই মনে হচ্ছে। সরকার শিগগিরই এই আলোচনা শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী ছিল।
গত শুক্রবার ড্রোন হামলায় মেহসুদ নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলী খান এই হামলাকে সরকারের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা ভন্ডুল করার চেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, তালেবানের সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে রওনা দেওয়ার এক দিন আগে এই হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তান সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছিলেন, আলোচনা শুরুর আগে আর ড্রোন হামলা চালানো হবে না।
এর আগে গত মে মাসে ড্রোন হামলায় তালেবান কমান্ডার ওয়ালিউর রেহমান নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলী খান বলেছিলেন, ‘যখনই আমরা তালেবানের সঙ্গে আলোচনার একটি পরিবেশ তৈরি করি, তখনই ভুল কোনো কাজ হয়ে যায়।’
অনেক পাকিস্তানিই মনে করেন, তালেবানকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা থেকে বিরত রাখতেই মেহসুদকে হত্যা করা হলো। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহসুদ বলেছিলেন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে তাঁর কোনো শর্ত থাকবে না। আলোচনায় বসে দাবি উত্থাপন করা হবে। অথচ এক সময় আলোচনার পক্ষে থাকার কারণে টিটিপির প্রভাবশালী অংশকে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন মেহসুদ। ২০০৯ সালে ড্রোন হামলায় টিটিপির প্রতিষ্ঠাতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার পর ওয়ালিউর রেহমান সংগঠনের প্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তবে হাকিমুল্লাহ মেহসুদ তাঁকে হারিয়ে নেতৃত্ব নিয়েছিলেন।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, খান সাইদ সরকারের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে।
তবে ড্রোন হামলায় মেহসুদ নিহত হওয়ার পর সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না যাওয়ার পক্ষে তালেবান নেতৃত্বের ওপর কট্টরপন্থী অংশের চাপ থাকবে। সেই চাপ এড়িয়ে তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবে না কি আরও সহিংস পথ বেছে নেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।