টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া মানে ট্রাম্পকে নির্বাচনে সমর্থন নয়: ইলন মাস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। টুইটারের মালিকানা হাতে আসার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথাও বলেছেন তিনি। তবে গত বৃহস্পতিবার তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, টুইটার থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এর অর্থ এই নয় যে তিনি ২০২৪ সালে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় সমর্থন করবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক টুইটার কেনার জন্য চুক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক সম্মেলনে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ট্রাম্পকে টুইটারের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নৈতিকভাবে ভালো ছিল না। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেন। নিজের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সম্পর্কে ইলন মাস্ক বলেন, ‘যদিও আমি মনে করি, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কম বিভক্ত প্রার্থী উপযুক্ত হবেন। তবে আমি ট্রাম্পকে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট অবশ্যই ফেরত দেওয়ার পক্ষে।’
এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আর টুইটারে ফিরতে চান না। এর বদলে তিনি নিজের ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গড়তে চান।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পরে সহিংসতার ঝুঁকি এড়াতে ট্রাম্পকে টুইটার থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পর আগামী নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে ট্রাম্পকে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি ইলন মাস্ক বলেছেন, টুইটার কিনলে তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকার হবে এ প্ল্যাটফর্মকে ‘স্প্যাম বট’মুক্ত করা। শুক্রবার তিনি বলেন, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে তিনি টুইটার কেনার প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি স্প্যাম বটের বিস্তারিত তথ্য না পাওয়ার কথা বলেছেন। টুইটারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই প্ল্যাটফর্মে স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো প্রকৃতপক্ষে ৫ শতাংশ বা এরও কম ব্যবহারকারীর প্রতিনিধিত্ব করে। এ দাবির সমর্থনে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন ইলন মাস্ক।