নারী হয়ে খুশি ১০ জনে ৯ জন
নারী হয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাজ্যের প্রতি ১০ জনে প্রায় নয়জন। ১৯৪৭ সালে নিজের লিঙ্গ পরিচয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন সেখানকার অর্ধেকের কিছু বেশি সংখ্যক নারী। তবে এখনকার জরিপ বলছে, ৭০ বছর আগের মেয়েদের তুলনায় এখনকার নারীরা আত্মপরিচয়ে অনেক বেশি খুশি।
গত সোমবার প্রকাশিত ব্রিটিশ বিবিসির এক জরিপে এমন তথ্য উঠে আসে। এতে যুক্তরাজ্যের ১০০৪ জন নারীর মতামত নেওয়া হয়। বিবিসি রেডিওর অনুষ্ঠান উইমেন্স আওয়ারের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জরিপটি করা হয়।
জরিপে ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেন, তাঁরা মনে করেন, বিয়েতে নারী ও পুরুষেরা স্বাধীনতায় সমপরিমাণ ছাড় দেয়। ১৯৫১ সালের জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র এক-চতুর্থাংশ পুরুষ ও নারী এমনটা ভাবতেন। জনমত যাচাইকারীরা বিয়ে, পারিবারিক জীবন, অর্থ, কাজ, সঙ্গম, চেহারা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পরিবর্তিত মনোভাব দেখানোর চেষ্টা করেন। ৮৭ শতাংশ নারী বলেন, সুযোগ পেলে বর্তমান সঙ্গীকে তাঁরা বিয়ে করতে চাইবেন।
১৯৪৯ সালে জনমত জরিপ সংস্থা গ্যালপের একই প্রশ্নে উত্তরে ৭৭% নারী ও পুরুষ বলেছিলেন এমনটা। নতুন জরিপটির ১০ জনে একজন নারী বলেন, তাঁরা সঙ্গী হিসেবে অন্য কাউকে বেছে নিতে চাইবেন। নিজের চেহারা-স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশ্ন করে দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী নারীদের ১০ শতাংশ কসমেটিক সার্জারির মধ্য দিয়ে গেছেন। ১৬ শতাংশ বলেন, তাঁদের কাছে ২১ বছর বয়সের তুলনায় এখনকার চেহারা-স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জরিপে আরও দেখা যায়, বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছেন ৬০ শতাংশ নারী। ১৯৫১ সালের তুলনায় যা দ্বিগুণ। বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য আরও বেশি চোখে পড়ার মতো। ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৬২ শতাংশ নারী এখন কাজ করছেন। ১৯৫১ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২২ শতাংশ।