ভারত বায়োটেকের টিকা নিতে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে সম্মতিপত্রে

ভারতের স্থানীয় টিকা উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন নিতে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর দিতে হচ্ছে আগ্রহীদের। তবে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিতে কাউকে এমন কোনো সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে না। এই টিকা ভারতে প্রস্তুত করছে সেরাম ইনস্টিটিউট।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, ভারত বায়োটেকের টিকাটির মানবদেহে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। ভারতের সরকারও টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে ‘পরীক্ষার আওতায়’। এ কারণেই সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে আগ্রহীদের। টিকা নেওয়ার পর গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বা কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই সম্মতিপত্রে।


ভারতে আজ শনিবার গণহারে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। দেশটিতে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটস অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) প্রধান রনদ্বীপ গুলেরিয়া, ভারতের টিকা কমিটির প্রধান ও নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল এবং তাঁর স্ত্রী বিজ্ঞানী শশী পল। ভারতে কোভ্যাক্সিনের টিকা প্রথম নেন মনীষ কুমার নামের এক ব্যক্তি।


ওই সম্মতিপত্রে বলা হয়েছে, ‘ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে ভারত বায়োটেক এই টিকা প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। মানবদেহে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় কোভ্যাক্সিনের করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এখনো এর কার্যকারিতার চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। ফলে এই টিকা প্রয়োগের পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’


ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে ওই ফরমে বলা হয়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কোভ্যাক্সিন নেওয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরকার–নির্ধারিত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি এই টিকার কারণে কারও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।


কোভ্যাক্সিন টিকাগ্রহীতাদের একটি ফরমও সরবরাহ করা হয়েছে। এই ফরমে টিকা গ্রহণের সাত দিনের মধ্যে জ্বর, শরীরব্যথা বা অন্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা লিখে রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপের জটিলতার কারণ মহারাষ্ট্রে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। প্রথম দিনে ভারতের লক্ষ্য ছিল তিন লাখ সম্মুখযোদ্ধাকে টিকাদান। শেষ পর্যন্ত তারা এক লাখ ৯১ হাজার জনকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে।