যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত আরও এক মাস বন্ধ

যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা সীমান্ত।
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যকার সীমান্ত পারাপার বন্ধের মেয়াদ আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের ২১ মার্চ থেকে দুই দেশের সীমান্ত পারাপার বন্ধ রয়েছে। প্রতি মাসে এই সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে ১৫ বার সীমান্ত পারাপার বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হলো।

কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পৃথক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

বিল ব্লেয়ার ১৮ জুন এক টুইট বার্তায় বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সীমান্ত আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, কানাডা সরকার কানাডায় প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া কানাডীয়, স্থায়ী বাসিন্দা এবং অন্যদের জন্য পরিকল্পনা করছে।

সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবা, স্বাস্থ্যসেবা, বিমান পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা, ট্রাকচালক ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ জরুরি মালামাল পরিবহন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এক টুইট বার্তায় ২০ জুন জানিয়েছে, করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর সীমান্ত পারাপার আরও এক মাস অর্থাৎ ২১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ কানাডীয় ও মেক্সিকান সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। তখন থেকেই প্রতি মাসে বিধিনিষেধ বাড়ানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চার লাখ মানুষ চলাচল করত। করোনার কারণে প্রায় এক বছর এই সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের বেশ বিপাকে পড়েছে। এতে অর্থনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। কানাডা থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ভ্রমণে মিশিগান আসে। এটি বন্ধ থাকায় মিশিগানের পর্যটন খাতে এরই মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর ১৬৭টি স্থল সীমান্ত পারাপার প্রায় এক বছর থেকে বন্ধ রয়েছে।