লন্ডনে রক্তক্ষয়ী হামলায় গ্রেপ্তার ৭

.
.

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে গতকাল বুধবারের রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনায় সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজমের প্রধান মার্ক রাওলি বলেন, হামলার পর এ নিয়ে রাতভর শত শত গোয়েন্দা কাজ করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি ও অভিযান চালিয়েছেন। হামলার তদন্তে সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে।

হামলায় হতাহত হওয়ার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানান যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, হামলায় মোট চারজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন একজন পুলিশ সদস্য, একজন সাধারণ নারী, একজন সাধারণ পুরুষ ও হামলাকারী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।

গতকাল যুক্তরাজ্যের পুলিশ জানিয়েছিল, হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

মার্ক রাওলি বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের বিশ্বাস, হামলাকারী এককভাবে হামলা চালিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে তাঁদের ধারণা।

এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার না করলেও ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ।

হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। হামলাকে ‘অসুস্থ ও বিকৃতি রুচির’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

লন্ডনের স্থানীয় সময় গতকাল দুপুরে ওই হামলা হয়। হামলার সময় পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন চলছিল।

টেমস নদীর ওপর অবস্থিত ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্ত এসে লেগেছে পার্লামেন্ট এলাকায়। এই ওয়েস্টমিনস্টার সেতুর ওপর দিয়ে পার্লামেন্টের দিকে আসার পথে সজোরে গাড়ি চালিয়ে পথচারীদের ওপর উঠিয়ে দেন এক হামলাকারী। এরপর গাড়িটি পার্লামেন্টের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে গিয়ে আঘাত হানে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, হামলাকারী একটি ছুরি নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে পুলিশ সদস্যের ওপর ছুরিকাঘাত করেন হামলাকারী। তখন হামলাকারীকে গুলি করে পুলিশ।

হামলাকারীর নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ। তবে বলছে, হামলাকারীকে তারা চেনে বলে মনে করছে।