হেলিকপ্টার হয়ে গেল ‘হেলিক্যাম্পার’

ব্ল্যাকি মরিস ও ম্যাগি মোর্টন দম্পতির বানানো হেলিক্যাম্পার
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

অনলাইনে পুরোনো একটি হেলিকপ্টার বিক্রি হবে। সেই বিজ্ঞাপন নজরে পড়ে এক দম্পতির। হেলিকপ্টারটি কিনে নেন তাঁরা। তবে সেটি তো আর উড়বে না। তাই আকাশযানটি আমূল বদলে ফেলেন ওই দম্পতি। তাঁদের হাতে হেলিকপ্টারটি হয়ে যায় হেলিক্যাম্পার। অর্থাৎ অবসরে ক্যাম্পিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য নতুন রূপ দেওয়া হয় সেটিকে।

ঘটনাটি ঘটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাকি মরিস ও ম্যাগি মোর্টন দম্পতি। স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) এক প্রতিবেদনে জানায়, মরিস–মোর্টন দম্পতির আবাস যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য আলাবামায়। দুজনই মার্কিন কোস্টগার্ডের হেলিকপ্টারের পাইলট। তাই এই আকাশযানের প্রতি তাঁদের আলাদা ভালো লাগা রয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডাভিত্তিক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পুরোনো একটি হেলিকপ্টার বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখেন মরিস। তবে ইঞ্জিনসহ আস্ত হেলিকপ্টার নয়, সেটি ছিল হেলিকপ্টারের কাঠামো। কিনতে চান সেটি। স্ত্রীকে জানালে তিনিও আগ্রহ দেখান। অবশেষে স্বামী–স্ত্রী মিলে কিনে ফেলেন সেটি।

হেলিকপ্টারের কাঠামোটি হাতে আসার পর সেটিকে ক্যাম্পিংয়ের জন্য আবাসস্থল বানাতে চান মরিস। যেই কথা, সেই কাজ। স্বামী–স্ত্রী মিলে সেটিকে বদলে ফেলেন। এখন পুরোদস্তুর হেলিক্যাম্পারের রূপ পেয়েছে সেটি। মরিস জানান, শুরুতে এই হেলিকপ্টারটি জার্মানির সেনা–পুলিশ ব্যবহার করত। পরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি আফগানিস্তানেও হেলিকপ্টারটি ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী। আর এখন সেটি ব্যবহৃত হচ্ছে ক্যাম্পিংয়ের কাজে।

হেলিক্যাম্পারটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলা হয়েছে। এতে দেখা যায়, আকাশযানটির পুরো কাঠামো অক্ষত রয়েছে। তবে বদলে ফেলা হয়েছে ভেতরের অংশ। সেখানে এখন আরাম–আয়েশের পুরো ব্যবস্থা বিদ্যমান। চাইলে যে কেউ রান্না করে খেতে পারবেন। ঘুমাতে পারবেন। বিছানা, রান্নাঘরসহ সব ব্যবস্থাই রেখেছেন মরিস–মোর্টন দম্পতি।

ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মরিস–মোর্টন দম্পতির এই হেলিক্যাম্পার। অনেকেই ক্যাম্পিংয়ের জন্য এটি ভাড়া নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁরা এখনই এটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার শুরু করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।