এবার কৃত্রিম মাছের মাংস

বৈদ্যুতিক ইলছবি : রয়টার্স

অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের ফলে স্বাদুপানির ইল মাছ বিলুপ্তির পথে। এতে ইল মাছের দামও বাড়ছে। এ অবস্থায় ইলের মাংস পরীক্ষাগারেই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন গবেষকেরা। এ কাজে সফলও হয়েছেন তাঁরা। দ্য গার্ডিয়ান–এর এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ফরসি ফুডস প্রথম স্বাদুপানির ইল মাছের মাংস পরীক্ষাগারে উৎপাদন করেছে। এ কাজে তারা জাপানের উনাগি ইল মাছের ভ্রূণ ব্যবহার করেছে। গবেষকেরা বলেন, গবেষণাগারে তৈরি ইল মাছের মাংস খেতে নৈতিকভাবে কোনো বাধা থাকবে না।

ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষাগারে তৈরি ইলের মাংস ব্যবহার করে জাপানি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দুই ধরনের খাবার তৈরি করেছে। এর একটি হচ্ছে ভাতের সঙ্গে খাবারের জন্য উনাগি কাবায়াকি ও সুসির সঙ্গে খাবারের জন্য উনাগি নিগিরি। প্রতিষ্ঠানটি দুই বছরের মধ্যে পরীক্ষাগারে তৈরি ইলের মাংস বাজারে বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পরীক্ষাগারে উৎপাদন করা মাংস খাওয়ার ব্যাপারে তাঁর সমর্থনের কথা জানান। বর্তমানে জাপানে এক কেজি ইলের দাম প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার টাকা (২৫০ মার্কিন ডলার)। ফরসি ফুডের দাবি, তারা এই দামের মধ্যেই পরীক্ষাগারে তৈরি ইলের মাংস বিক্রি করতে পারবে।

ফরসি ফুডের প্রধান নির্বাহী রয়ি নির বলেন, বিশ্বজুড়ে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের কারণে ইল মাছ কমছে। এ ছাড়া এ মাছের অবৈধ চোরাচালানেরও বিশাল বাজার রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে অতিরিক্ত দাম ও সরবরাহের ঘাটতি থাকায় জাপানে ইল মাছ খাওয়ার হার ৮০ শতাংশ কমে গেছে। তিনি দাবি করেন, পরীক্ষাগারে ইলের যে মাংস তৈরি হচ্ছে, তার স্বাদ ও গন্ধ হবে অনন্য।