যে জীবনবৃত্তান্ত ভোজনযোগ্য

কেকের ওপর প্রিন্ট করা জীবনবৃত্তান্ত
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো চাকরির বিজ্ঞাপন ছিল না। তবু নাইকিতে জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন এক নারী। তিনি যে জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন, যা কিনা ‘খাওয়ার যোগ্য’।

বিষয়টি খোলাসা করা যাক। নাইকির স্লোগান ‘জাস্ট ডু ইট’ দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন ছিল। এদিন প্রতিষ্ঠানটিতে জীবনবৃত্তান্ত

পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কার্লি প্যাভলিনাক ব্ল্যাকবার্ন। যদিও সেই সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছিল না নাইকির। এরপরও তিনি চাইছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি তাঁর সম্পর্কে জানুক। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবলাম, এমন হলে কেমন হয়, যদি আমি একটি কেক পাঠাই। এ জন্য আমার সাবেক প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ট গ্যান্ডারের এক সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, “ভালো কিছু করুন, এটি একটি সৃজনশীল জায়গা। কোনো কিছু উপস্থাপন করলে, তা সৃজনশীল উপায়ে কিছু করুন।”’

ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এরপর ব্ল্যাকবার্ন সিদ্ধান্ত নেন, তিনি নাইকির কার্যালয়ে কেক পাঠাবেন। তবে সমস্যা হলো, তিনি নাইকির ওই আয়োজনে আমন্ত্রিত নন। তাহলে কীভাবে কেক পাঠাবেন? ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ওই কেক নিয়ে তিনি নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য থেকে অরেগন অঙ্গরাজ্যে নাইকির কার্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি একটি দোকান খুঁজে পান, যেখানে কেকের ওপর ছবি প্রিন্ট করে দেওয়া হয়। আর এই ছবিসহ কেক খাওয়ার যোগ্য। এরপর সেই কেক পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য একজনকে পেয়ে যান তিনি।

সম্প্রতি ব্ল্যাকবার্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে কেকে জীবনবৃত্তান্ত প্রিন্ট করে তিনি নাইকিতে পাঠিয়েছেন, যা ভোজনযোগ্য।