যৌনতাপূর্ণ ছবির জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ককে অর্থ প্রদান, বিবিসির উপস্থাপক বরখাস্ত
প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) এক উপস্থাপকের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে যৌনতাপূর্ণ ছবি পাঠানোর জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই উপস্থাপককে রোববার বরখাস্ত করেছে বিবিসি।
ওই উপস্থাপক বিশ্বব্যাপী পরিচিত মুখ। যুক্তরাজ্যে কারও বিরুদ্ধে আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন না হলে তাঁর নাম প্রকাশে বিধিনিষেধ থাকায় ওই উপস্থাপকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাজ্যেরই দ্য সান পত্রিকা গত শুক্রবার অভিযোগের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনে। ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে থেকে তাঁর সন্তানকে যৌনতাপূর্ণ ছবির জন্য অর্থ দিয়ে আসছেন বিবিসির একজন পুরুষ উপস্থাপক। তিনি তাকে মোট ৩৫ হাজার পাউন্ড দিয়েছেন। যে সময় প্রথম অর্থ দেওয়া শুরু হয়েছিল, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
এই অর্থ দিয়ে তাঁর সন্তান নেশা করে এবং সে কোকেনে আসক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মা। এ ঘটনায় ওই পরিবার ১৯ মে বিবিসির কাছে অভিযোগ করে। কিন্তু এরপরও ওই উপস্থাপককে দায়িত্ব থেকে সরায়নি বিবিসি কর্তৃপক্ষ। সান পত্রিকায় খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিমন্ত্রী লুসি ফ্রেজার রোববার বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেন। টুইটারে লুসি লেখেন, ‘ডেভি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, বিবিসি এ অভিযোগ দ্রুত ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে।’ তিনি আরও বলেন, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় এটা গুরুত্বপূর্ণ যে বিবিসিকে এখন সংস্থাটির তদন্তকাজ চালানো এবং বাস্তবে কী ঘটেছে, তা খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এরপর বিবিসির কর্মীদের কাছে পাঠানো এক ই-মেইলে ওই উপস্থাপককে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছেন টিম ডেভি।
সিরিয়ায় বিবিসির অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল
এদিকে সিরিয়া সরকার বিবিসির মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, ‘পক্ষপাতমূলক ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন’ প্রকাশের জন্য সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বিবিসি কর্তৃপক্ষ ‘পেশাদারি মান’ বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি নিউজের আরবি ভাষার সংস্করণ গত মাসে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ক্যাপটাগন নামের একটি মাদকের বাণিজ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পরিবার ও দেশটির সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সদস্যরা জড়িত।