উড়োজাহাজের জরুরি নির্গমনের দরজা খুলে ডানার ওপর হাঁটাহাঁটি
হঠাৎ খুলে গেল বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি উড়োজাহাজের জরুরি নির্গমনের দরজা। বেরিয়ে এলেন এক যাত্রী। তারপর ডানার ওপর হাঁটাহাঁটি করে আবার ফিরে গেলেন উড়োজাহাজের ভেতরে। ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। কী মনে হচ্ছে, তিনি অকারণেই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন? উড়োজাহাজটির অন্য যাত্রীরা কিন্তু বলছেন ভিন্ন কথা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অ্যারোমেক্সিকো এয়ারলাইনসের ওই উড়োজাহাজটির গুয়াতেমালা যাওয়ার কথা ছিল। আকাশে ওড়ার আগে সেটি রানওয়ে থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছিল। তখনই কাণ্ডটি ঘটে। তবে ওই ব্যক্তি উড়োজাহাজ বা অন্য কারও ক্ষতি করেননি।
এদিকে এ নিয়ে আলাদা একটি বিবৃতি দিয়েছেন ওই উড়োজাহাজের অন্তত ৭৭ যাত্রী। তাঁদের ভাষ্যমতে, আকাশে ওড়ার আগে উড়োজাহাজটিতে তাঁদের চার ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এ সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য বিশুদ্ধ বাতাসের ঘাটতি দেখা দেয়। পানিও ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তি জরুরি নির্গমনের দরজা খুলে ফেলেন।
নিজেদের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছেন ওই যাত্রীরা। তাঁরা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাতাসের অভাবে যাত্রীদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছিল। ওই ব্যক্তি আমাদের জীবন বাঁচিয়েছেন। তিনি যা করেছেন, আমাদের অনুমতি নিয়েই করেছেন।’
যাত্রীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে উড়োজাহাজটির ভেতরে ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে। তাতে দেখা গেছে, যাত্রীরা নিজেদের বাতাস করছেন এবং ক্রুদের কাছে পানি চাইছেন। আর উড়োজাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া হিসাব বলছে, গুয়াতেমালাগামী ওই উড়োজাহাজ বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট বিলম্ব করেছিল।
বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। তাদের বক্তব্য, উড়োজাহাজটির সকাল পৌনে নয়টায় ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সেটি যথাসময়ে উড়তে পারেনি। তবে আটক ওই ব্যক্তি এখনো পুলিশের হেফাজতে আছে কি না কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জানায়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।