মুখোমুখি দুই ধনকুবের

ইলন মাস্ক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের শীর্ষ দুই ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোস। গণমাধ্যমে প্রায়ই তাঁদের দ্বৈরথের খবর আসে। আবারও শিরোনাম হলেন তাঁরা। এবার মাস্কের কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে টেক্কা দিতে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে বেজোসের ‘প্রজেক্ট কুইপার’।

কুইপার যে স্টারলিংককে টেক্কা দিতে চায়, এমন কথা চাউর হয়েছে বহুদিন আগে। তবে এত দিন সেটা পরিকল্পনা পর্যায়েই ছিল। অবশেষে গত শুক্রবার কৃত্রিম উপগ্রহ দুটি উৎক্ষেপণ করে কুইপার। এর মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে মাস্কের স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার পথে পা বাড়াল।

জেফ বেজোস
ফাইল ছবি: রয়টার্স

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে অ্যাটলাস–৫ রকেটে করে কুইপারের কৃত্রিম উপগ্রহ দুটি উৎক্ষেপণ করে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স (ইউএলএ)। যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ ও অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এবং লকহিড মার্টিনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটি।

কুইপার বলেছে, কার্যক্রম শুরু হলে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাসহ বিশ্বজুড়ে সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেবে তারা। এ লক্ষ্যে উৎক্ষেপণ করবে ৩ হাজার ২০০টির বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ। এ প্রকল্পে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রজেক্ট কুইপার।

তবে মাস্কের স্টারলিংককে টেক্কা দেওয়া বেজোসের জন্য সহজ হবে না। কারণ, কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ায় স্টারলিংকের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। ২০১৯ সালে প্রথম স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৭০টির বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে তারা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনসহ অনেক দেশে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে স্টারলিংক। প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা মুঠোফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেব্‌লনির্ভর। তবে স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এ সেবা দেয়। তাই দুর্গম অঞ্চলেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।