সময় এখন স্মার্ট চশমার
নতুন বছরে সবার চোখ থাকবে স্মার্ট চশমার দিকে। বহুজাতিক ফ্যাশন কোম্পানি ইজিল-লা-এক্সোটিকার সঙ্গে যৌথভাবে স্মার্ট চশমা বাজারে নিয়ে এসেছে মেটা। ইতিমধ্যে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় রে–ব্যানের বিক্রয়কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে তাদের চশমা। গত বছর তারা সবচেয়ে বেশি ১০ লাখ চশমা বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট।
রে–ব্যানের স্মার্ট চশমায় মাইক, অডিও, ক্যামেরা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধা রয়েছে। চশমার ফ্রেমও পরিচিত। প্রতিটির দাম ৩০০ ডলার। এর আগে মেটা বড় আকারের ভার্চ্যুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়েলিটির হেডসেটি নিয়ে এলেও তা জনসাধারণের নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে মেটার এবারের স্মার্ট চশমা সাধারণ চশমার নকশার আদলে তৈরি করা হয়েছে। হালকা ধরনের এই চশমার ওজন ৫০ গ্রামেরও কম। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ফিচার দিয়ে সাজানো হয়েছে স্মার্ট চশমাটি। এর মাধ্যমে ত্বরিত অনুবাদ ও হাতের সংস্পর্শ ছাড়াই ছবি ও ভিডিও করা যাবে। এ ছাড়া এর ইন-বিল্ট মেমোরি ও প্রসেসিং ক্ষমতা রয়েছে।
এই স্মার্ট চশমা ইয়ারবাডসের মতো স্মার্টফোনেও যুক্ত করা যাবে। সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপসেট, সফটওয়্যার ও ব্যাটারি–সুবিধা রয়েছে এই চশমায়। মেটার রে–ব্যান স্মার্ট চশমা একবার চার্জ দিয়ে চার ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে। মেটার প্রতিদ্বন্দ্বী স্লাপসের স্মার্ট চশমার স্থায়িত্ব এক ঘণ্টারও কম।
নতুন বছরে অন্যান্য বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও এই খাতে নজর দিচ্ছে। চীনের প্রতিষ্ঠান বাইদু গত বছরের নভেম্বরে এআই ফিচার–সংবলিত স্মার্ট চশমা বাজারে এনেছে। এর কয়েক দিন পরেই রয়টার্সের খবরে বলা হয়, যেসব চালক গাড়িতে করে পণ্য সরবরাহ করেন, তাঁদের জন্য স্মার্ট চশমা তৈরি করেছে মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। শুধু অ্যামাজনই নয়, অ্যাপল, স্যামসাং ইলেকট্রনিকস, শাওমি, গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটও নতুন স্মার্ট চশমা তৈরি করতে মাঠে নেমে গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।