সুইডেনের সংগীতশিল্পী ম্যাটিয়াস ক্রান্টজ ছয় মাস ধরে এক অভিনব পরীক্ষা চালিয়েছেন। চেষ্টা করেছেন নিজের পোষা অক্টোপাসকে পিয়ানো বাজানো শেখাতে। এ অভিজ্ঞতা তাঁর ভাষায় ‘সবচেয়ে খারাপ এবং সবচেয়ে মজার’।
ক্রান্টজ একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রকে নিজের মতো করে পরিবর্তন (মডিফাই) করে ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
ক্রান্টজ সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তাঁকে নিজের পোষা অক্টোপাসকে হাত দিয়ে যত্ন করে পিয়ানো বাজানো শেখাতে দেখা যায়। তাঁর পোষা অক্টোপাসের নাম তাকোয়াকি। আদর করে তাকে ‘তাকো’ নামে ডাকেন ক্রান্টজ।
ওয়াশিংটন পোস্টকে ক্রান্টজ বলেন, গত মার্চ মাসে তিনি পর্তুগিজ একটি মাছের ফার্ম থেকে তাকোকে কিনে আনেন। তবে ভিডিওতে তাঁকে একটি কোরীয় সি ফুড মার্কেটে মিউজিক্যাল মলাস্ক খুঁজতে দেখা যায়। মিউজিক্যাল মলাস্ক হলো এমন এক প্রজাতির অক্টোপাস, যাদের পিয়ানো বা অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র কিছু পরিমাণে শেখানো যায়।
ক্রান্টজ বলেন, প্রথমে তাঁকে তাকোর আস্থা অর্জন করতে হয়েছিল। এরপর এক বিশেষ কি–বোর্ড তৈরি করতে হয়েছে, যেখানে তাকো তার শিঙি দিয়ে নোট বাজাতে পারবে। শুরুতে তাকো মাত্র এক বা দুটি নোটই বাজাতে পারছিল। তাকে উৎসাহিত করতে জলের বুদ্বুদ ব্যবহার করা হতো।
গত আগস্টে তাকোর ট্যাংকে ‘ক্র্যাব এলিভেটর’বসানো হয়। ক্র্যাব এলিভেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা ট্যাংকে তাকোর প্রিয় খাবার কাঁকড়াকে (ক্র্যাব) ওপরের বা নিচের দিকে সরাতে পারে। পিয়ানোর প্রতিটি নোট বাজার সঙ্গে সঙ্গে এলিভেটর থেকে কাঁকড়াকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হতো। প্রণোদনা হিসেবে এটা করা হতো। এটা তাকোকে পিয়ানো বাজানো শিখতে উৎসাহিত করে।
ক্র্যাব এলিভেটর যখন তাকোকে প্রলুব্ধ করত, তখন পাশে গিটার বাজিয়ে ক্রান্টজ তাকে সঙ্গ দিতেন। এতে তাকো পিয়ানো বাজাতে উৎসাহিত হতো। তাকোকে বিশ্ববিখ্যাত শিশুদের গান ‘বেবি শার্ক’-এর নোট শেখাতেও চেষ্টা করেছে ক্রান্টজ। টাইমিং ঠিক না থাকলেও তা কিছুটা পেরেছে তাকো।
সামুদ্রিক বিজ্ঞানী জেনি হফমেইস্টার সতর্ক করে বলেন, ‘অক্টোপাস সম্ভবত সংগীতের আনন্দের জন্য নয়, বরং প্রতিদান হিসেবে ক্র্যাব পেতে নোটগুলো বাজাচ্ছে। কারণ, সে ছন্দ বা গতি বোঝে না। শুধু খাবার পেতে ধাপগুলো পালন করছে।’