মুঠোফোনে কথা বলার দিন
বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছু। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই হয় ইতিহাসে। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ৩ এপ্রিল। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম
মুঠোফোন ছাড়া এখন একটি দিন কাটানোর কথা হয়তো ভাবতে পারেন না অনেকেই। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কারও সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুরো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে মুঠোফোন। ১৯৭৩ সালের এ দিনে প্রথমবারের মতো মুঠোফোনে কথা বলে মানুষ। মটোরোলার মার্টিন কুপার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটির জোয়েল এঞ্জেলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। যোগাযোগপ্রযুক্তির বিশ্বে গড়েন নতুন ইতিহাস।
প্রথম বহনযোগ্য কম্পিউটার ব্যবহার
শুরুর দিকের কম্পিউটারগুলো ছিল বেশ বড় আকারের, যেগুলো বহন করা সম্ভব ছিল না। ঘরে বসেই এসব কম্পিউটার ব্যবহার করতে হতো। ১৯৮১ সালের এ দিনে বিশ্ববাসী প্রথম বহনযোগ্য কম্পিউটার দেখে। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোয় চালু হওয়া প্রথম বহনযোগ্য কম্পিউটারটির নাম অসবর্ন-১। এ কম্পিউটারের ওজন ছিল ১০ কেজি। পর্দার মাপ ৫ ইঞ্চি। র্যাম ছিল ৬৪ কিলোবাইটের। বহনযোগ্য একেকটি অসবর্ন-১ কম্পিউটার কিনতে গুনতে হতো ১ হাজার ৭৯৫ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রে ঘোড়ার ডাকের প্রচলন
একসময় বার্তা কিংবা চিঠি আদান–প্রদানের জন্য ঘোড়ার ডাকের প্রচলন ছিল। টগবগিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে ডাকের কর্মীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ডাক পৌঁছে দিতেন। ১৮৬০ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ঘোড়ার ডাক চালু হয়। মিসৌরি থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অবধি ছুটতো এই ঘোড়ার ডাক। ১০ দিনে পৌঁছে দিত চিঠিপত্র।
কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক জোসেফ স্টালিন
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসে প্রভাবশালী নেতা জোসেফ স্টালিন। ১৯২২ সালের এ দিনে তিনি সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন। এই পদ দলে তাঁর একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারের পথ খুলে দেয়। সেই সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর তাঁর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।