নারীদের বিশ্বকাপ ফুটবল উদ্বোধনের আগে নিউজিল্যান্ডে হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৩

হামলার পরপরই পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে
ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের একটি ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬ জন। এ ঘটনায় বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। অকল্যান্ডে নারী ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনের আগে আগে এ হামলা হলো।

অকল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সানি প্যাটেল বলেন, হামলাকারী ব্যক্তি একটি ভবনে ঢুকে গুলি ছুড়তে থাকেন। ওই ব্যক্তি ভবনের ওপরের দিকের তলায় উঠে যান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বন্দুকযুদ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পর ওই বন্দুকধারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় হামলাকারী ছাড়া আরও দুজন মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে নারী ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বন্দুকধারীর এ হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টটি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে।

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, এ হামলার ঘটনায় জাতীয়ভাবে কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হয়নি। এ কারণে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকিজনিত কোনো সতর্কতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

ক্রিস হিপকিন্স বলেন, অকল্যান্ডবাসী ও বিশ্বজুড়ে যে দর্শকেরা আছেন, তাঁদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ হুমকি দূর করেছে। এ ঘটনায় এখন আর কেউ পলাতক নেই।

ক্রিস হিপকিন্স আরও বলেন, ‘সরকার ফিফার আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছে। টুর্নামেন্টটি যথাসময়ে চলবে। নিউজিল্যান্ডবাসীর নিরাপত্তা, আমাদের দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয়।’

বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে ইউএস স্কোয়াডসহ বেশ কয়েকটি দেশের নারী ফুটবল দল অকল্যান্ডে অবস্থান করছে। হামলার ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ইউএস স্কোয়াড বলেছে, তাদের খেলোয়াড় ও কর্মীরা নিরাপদ আছেন।

হামলার পরপরই পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও আছেন।

নিউজিল্যান্ডে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা খুব বিরল। ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় ৫১ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্রবিরোধী আইন চালু হয়।