বিশ্বে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

দেশে দেশে মাদকের কারণেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে
প্রতীকী ছবি: এএফপি

বিশ্বে গত বছর ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে মাদকের ঘটনায়ও এখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডসংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলছে, এ প্রতিবেদনে গত বছর চীনে কার্যকর হওয়া মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ২০টি দেশে ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ৫৩ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে গত বছর ইরানে ৫৭৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৩১৪। গত বছর সৌদি আরবে ১৯৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৬৫ জন। মিসরে গত বছর ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর ১৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, গত তিন দশকের মধ্যে ২০২২ সালে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে।

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো গত বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। মানবজীবনের প্রতি নির্মম অবহেলা প্রকাশ করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড নিয়ে গত বছর বেশ কিছু নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যানুযায়ী, গত শতকের আশির দশকের পর থেকে মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশটি চারজন রাজনৈতিক বিরোধীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। অন্যদিকে গত বছর সৌদি আরবে নজিরবিহীনভাবে এক দিনেই ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

উদ্বেগের বিষয় হলো, দেশে দেশে মাদকের কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের মোট মৃত্যুদণ্ডের প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল মাদকসংক্রান্ত ঘটনায়। এর মধ্যে ইরানে ২৫৫ জন, সৌদি আরবে ৫৭ জন, সিঙ্গাপুরে ১১ জনকে মাদকসংক্রান্ত ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চীন ও ভিয়েতনামে মাদকের কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।