ইথিওপিয়ায় জাতিসংঘের কর্মীদের গুলি

ইথিওপিয়ার আমহারা ন্যাশনালে ফোর্সের এক সেনা অস্ত্র উঁচিয়ে আছেন। পাশে একজন কাপড় পরিষ্কার করছেন। গত ২২ নভেম্বর তোলা
ছবি: এএফপি

ইথিওপিয়ার সহিংসতাপ্রবণ তাইগ্রে অঞ্চলে জাতিসংঘের সাহায্যকারী দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া সংস্থার কর্মীদের আটকও করেছেন তাঁরা। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়া সরকারের মুখপাত্র রেদোয়ান হোসেইন বলেন, জাতিসংঘের কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং গুলি করা হয়েছে। ‘যাওয়া যাবে না—এমন এলাকায়’ ঢোকার জন্য তাঁরা দুটি তল্লাশিচৌকি ভেঙে ফেলেন। এরপর তৃতীয় তল্লাশিচৌকি ভাঙতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় এবং আটক করা হয়।

এই গুলির ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ওই এলাকায় প্রবেশের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছ বারবার আবেদন করছে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র বাবর ব্যালচ বলেন, সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রয়োজন। দুঃখের বিষয় তা এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে ইথিওপিয়া সরকারে মুখপাত্র রেদওয়ান রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতিসংঘের কর্মীরা একধরনের দুঃসাহসিক অভিযানে লিপ্ত হয়েছিল। এই দেশটা কোনো “নো ম্যানস ল্যান্ড” নয়। এখানে একটি সরকার আছে।

যদি কাউকে কোথায় যেতে নিষেধ করা হয়, তবে তা মানতে হবে। আপনি সরকারের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করতে পারে না।’

তাইগ্রে অঞ্চলে গত ৪ নভেম্বর থেকে সরকারি বাহিনী ও তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টপন্থী (টিপিএলএফ) সেনাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া সেখানকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পালিয়ে সুদানে আশ্রয় নিয়েছে। আর এই সংঘর্ষ শুরু আগে থেকেই ৬ লাখ মানুষের ত্রাণের প্রয়োজন ছিল।