এক রাজার ৬ বিধবার লড়াই

জুলু রাজা গুডউইল জুয়েলিথিনি ছয়জন স্ত্রী রেখে যান
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত জুলু রাজার ছয় বিধবার মধ্যে একজন উত্তরাধিকার নিয়ে আইনি লড়াই শুরু করেছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত মঙ্গলবার দেশটির কোয়া-জুলু নাটাল প্রদেশের একটি আদালতে এ আইনি লড়াই শুরু হয়। আইনি লড়াই শুরু করা নারীর যুক্তি, তিনিই রাজার একমাত্র বৈধ বিধবা। কারণ, রাজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়ানি আইন অনুযায়ী হয়েছিল। রাজা বাকি পাঁচ নারীকে বিয়ে করেছিলেন ঐতিহ্যগত রীতিনীতি অনুসারে।

জুলু রাজা গুডউইল জুয়েলিথিনি গত বছরের মার্চে ৭২ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ৫০ বছর সিংহাসনে ছিলেন। তিনি ৬ জন স্ত্রী ও কমপক্ষে ২৮ জন সন্তান রেখে গেছেন।

রাজা তাঁর ইচ্ছাপত্রে (উইল) প্রিয় স্ত্রী শিওয়ে মান্টফোম্বি ডলামিনিকে ১ কোটি ১০ লাখ জুলু জনগোষ্ঠীর শাসক হিসেবে নামকরণ করে গেছেন।

রাজার মৃত্যুবরণের মাত্র এক মাস পর গত বছরের এপ্রিলে হঠাৎ মারা যান তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শিওয়ে। তবে তিনি তাঁর পুত্র মিসুজুলু জুলুকে (৪৭) সিংহাসনে আরোহণের জন্য একটি উইল রেখে যান।

মিসুজুলু জুলুর অভিষেক এখনো হয়নি। মঙ্গলবার আদালতের শুনানিতেও তিনি উপস্থিত হননি।

তবে জুলু রাজপরিবারের কয়েক সদস্য শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কাঁধে পশুর চামড়া বা মাথায় পশমের মুকুট পরেছিলেন।

রাজার প্রথম স্ত্রী রানি সিবোঙ্গিল ডলামিনি মিসুজুলুর সিংহাসনের অধিকারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর আইনজীবী নাইজেল রেডম্যান আদালতে বলেন, এ মামলায় প্রথাগত বিয়ের বৈধতার বিষয়টি একটি প্রধান বিবেচ্য দিক।

বিচারক আইজ্যাক মাদোন্দো স্বীকার করেছেন যে মামলাটি শুধু একটি আইনি ইস্যুই নয়, সাধারণ আইন ও প্রথাগত আইনের মধ্যকার দ্বন্দ্বেরও বিষয়।

বাদীপক্ষের দাবি, হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উইলে থাকা সই জাল।

মামলার শুনানি চলমান।